শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়ার উপায়--কিভাবে শীতকালে ত্বকের যত্ন নিবেন
কোন খাবার খেলে ত্বক ফর্সা হয়শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়ার উপায় গুলো আমাদের জেনে রাখা খুব জরুরী। কেননা আমরা শীতকালে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় ভূগে থাকি। শীতকাল মানেই ঠান্ডা বাতাস, কম আর্দ্রতা এবং ত্বকে শুষ্কতার অস্বস্তি। এই সময় আমাদের ত্বকের প্রাকৃতিক তেলগুলো দ্রুত হারিয়ে যায়, যার ফলে ত্বক রুক্ষ, ফাটা এবং অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে।
শীতের এই শুষ্ক পরিবেশ শুধু ত্বকের বাহ্যিক সৌন্দর্য নষ্ট করে না বরং ত্বকের গভীরে ক্ষতি করতে পারে। তাই ত্বকের উজ্জ্বলতা ও স্বাস্থ্য ধরে রাখতে প্রয়োজন সঠিক যত্ন ও নিয়মিত পরিচর্যা।আজকে আমরা আলোচনা করব কিভাবে শীতকালে ত্বকের যত্ন নিবেন তা নিয়ে। তো চলুন জেনে নিই শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়ার উপায় গুলো।
পোস্ট সূচিপত্রঃ শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়ার উপায়
- শীতে রুক্ষ ত্বকে প্রাণ ফিরিয়ে আনার ৫টি ঘরোয়া সমাধান
- শীতে ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখার সহজ উপায়
- শীতে ত্বক ফাটা রোধের উপায়
- শেষ কথা-শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়ার উপায়
শীতে রুক্ষ ত্বকে প্রাণ ফিরিয়ে আনার ৫টি ঘরোয়া সমাধান
শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়ার উপায় সমূহের মধ্যে ঘরোয়া উপায়গুলো বেশ কার্যকর। শীতকালে শুষ্ক ও ঠান্ডা আবহাওয়া ত্বককে রুক্ষ ও প্রাণহীন করে তোলে। তবে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে সহজেই ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। নিচে শীতে রুক্ষ ত্বক পুনরুজ্জীবিত করার ৫টি কার্যকর ঘরোয়া সমাধান আলোচনা করা হলোঃ
মধু ও দুধের প্যাকঃ মধু ত্বকে ময়েশ্চারাইজ করে এবং দুধ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। আপনি দুই টেবিল চামচ মধু ও এক টেবিল চামচ কাঁচা দুধ একসাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন এবং এই পেস্ট আপনার সমস্ত ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত মধু ও দুধের প্যাক ত্বকে ব্যবহার করলে শীতের এই শুষ্কতায় ত্বক সতেজ ও সুন্দর থাকবে।
তেল ম্যাসাজঃ আপনি পতি রাত্রে ঘুমানোর আগে নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল এবং সামান্য পরিমান লোশন একসাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন এবং এই পেস্ট আপনার সমস্ত ত্বকে হালকাভাবে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন এবং সকালে ধুয়ে ফেলুন।নারিকেল তেলে থাকা প্রাকৃতিক ফ্যাটি এসিড ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং গভীর থেকে আদ্রতা যোগায়।অন্যদিকে অলিভ অয়েল এবং লোশন আপনার ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারঃ আপনি তাজা এলোভেরার পাতা থেকে জেল বের করে আপনার মুখে, হাতে এবং পায়ের ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন এরপর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়াও বাজারে এলোভেরা জেল কিনতে পাওয়া যায়। আপনি এই এলোভেরা জেলও ব্যবহার করতে পারেন আপনার ত্বকে। অ্যালোভেরা ত্বকের শীতলতা বজায় রাখে এবং শুষ্কতা দূর করে ত্বককে নরম করে। নিয়মিত এলোভেরা জেল ব্যবহারে ত্বক রুক্ষ হওয়া থেকে রেহাই পাবে।
আরো পড়ুনঃ অ্যালোভেরার উপকারিতা
দই এবং বেসনের প্যাকঃ দই এবং বেসন এই দুটি উপাদান একসাথে মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন এবং ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন এরপর পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। দই ত্বককে মসৃণ করে এবং বেসন ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। আপনি যদি নিয়মিত আপনার ত্বকে দই এবং বেসনের প্যাক লাগান তাহলে ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল হবে এবং ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকবে।
গোলাপজল এবং গ্লিসারিনের মিশ্রণঃ আপনি সমপরিমাণ গোলাপজল এবং গ্লিসারিন এই দুটি উপাদান একসাথে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে একটি বোতলে সংরক্ষণ করুন। প্রতিদিন প্রতিবার ত্বক ধোয়ার পরে এই মিশ্রণটি আপনার ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে নিবেন। নিয়মিত এই মিশ্রণ ব্যবহারে আপনার ত্বক মশ্চারাইজ করবে এবং রুক্ষতাকে দূর করে ত্বককে সতেজ রাখবে। এই ঘরোয়া সমাধান আপনার ত্বকের রুক্ষতা দূর করে প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত করে তুলবে।
শীতে ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখার সহজ উপায়
শীতকালে ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখা বেশ চ্যালেঞ্জিং। ঠান্ডা বাতাস, শুষ্ক আবহাওয়া এবং ঘরের তাপমাত্রা ত্বকের আর্দ্রতা শুষে নেয়, ফলে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে ওঠে। শীতকালে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যাওয়ার সমস্যাটি খুবই সাধারণ। ত্বকের সঠিক যত্ন ও কিছু অভ্যাস মেনে চললে শীতের শুষ্কতাতেও ত্বক উজ্জ্বল রাখা সম্ভব। আপনাদের সুবিধার্থে নিচে কিছু কার্যকর উপায় বর্ণনা করা হলো যেগুলো আপনারা অনুসরণ করলে শীতের এই ঠান্ডা আবহাওয়ায় আপনাদের ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকবে।
- গভীর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুনঃ শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়ার উপায় সমূহের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে ত্বক গভীরভাবে মশ্চারাইজ করা। শীতকালের জন্য ভারী ও তেলসমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। ত্বক ধোয়ার পর মশ্চারাইজার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। সাওয়ার বা মুখ ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে মশ্চারাইজার লাগালে ত্বক আর্দ্র থাকে। তাই ত্বকের জন্য হাইড্রেটিং এবং পুষ্টিকর ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। শিয়া বাটার, গ্লিসারিন, বা হায়ালুরোনিক অ্যাসিডসমৃদ্ধ পণ্য ব্যবহার করুন।
- তেল বা সিরাম ব্যবহার করুনঃ ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে প্রাকৃতিক তেল যেমন নারিকেল তেল, জলপাই তেল বা আর্গান তেল ব্যবহার করুন। এগুলো ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সহায়ক।
- গোসলের সময় উষ্ণ পানির ব্যবহার সীমিত রাখুনঃ খুব গরম পানি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে। তাই গোসলের সময় হালকা উষ্ণ পানি ব্যবহার করুন এবং গোসলের পর সঙ্গে সঙ্গে ময়েশ্চারাইজার লাগান।
- মৃদু ক্লিনজার ব্যবহার করুনঃ হারশ কেমিক্যালযুক্ত ক্লিনজার এড়িয়ে চলুন। মৃদু, পুষ্টি যোগানো ক্লিনজার ব্যবহার করুন, যা ত্বক পরিষ্কার করার পাশাপাশি আদ্রতাও বজায় রাখে।
- স্ক্রাবিং সীমিত রাখুনঃ অতিরিক্ত স্ক্রাবিং ত্বকের আদ্রতা কমায়। সপ্তাহে একবার হালকা স্ক্রাব ব্যবহার করুন, যাতে মৃত কোষ পরিষ্কার হয় কিন্তু ত্বক শুষ্ক না হয়।
- ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুনঃ শীতকালেও রোদে থাকা UV রশ্নি ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। তাই বাইরে যাওয়ার ১৫ থেকে ২০ মিনিট আগে ত্বকে ভালোভাবে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
- পর্যাপ্ত পানি পান করুনঃ ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে শরীরকে ভেতর থেকে হাইড্রেট রাখা জরুরী। শীতকালে পানি পান কমে যায়, যা ত্বকের আদ্রতা হারানোর কারণ। আপনি প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করুন। এটি ত্বকের ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা বাড়ায়, সেই সাথে ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখে।
- ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুনঃ ত্বকের উজ্জ্বলতার জন্য ভিটামিন সি ই এবং উমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খুবই কার্যকর। লেবু, কমলা, বাদাম ও মাছের তেল এইসব খাবার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় সেই সাথে ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে।
- হালকা মেকআপ ব্যবহার করুনঃ শীতকালে বেশি মেকআপ ত্বকের রুক্ষতা বাড়াতে পারে। তাই প্রয়োজনে হালকা ও ময়েশ্চারাইজিং মেকআপ পণ্য ব্যবহার করুন।
- ধূমপান এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুনঃ ধূমপান ও অ্যালকোহল ত্বকের আর্দ্রতা ও উজ্জ্বলতা নষ্ট করে। তাই শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতা ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখার জন্য এগুলো থেকে দূরে থাকুন।
শীতে ত্বক ফাটা রোধের উপায়
শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়ার উপায় গুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকর। শীতের শুষ্ক এবং ঠান্ডা পরিবেশ ত্বকের জন্য একাধিক সমস্যা তৈরি করতে পারে, যেমন শুষ্কতা, রুক্ষতা, চুলকানি এবং ফাটা ত্বক। তবে কিছু সহজ এবং নিয়মিত অভ্যাস আপনাকে শীতে ত্বকের সমস্যা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে। শীতে ত্বকফাটা রোধের কয়েকটি কার্যকর উপায় নিচে বর্ণনা করা হলোঃ
ত্বক মশ্চারাইজ করাঃ শীতকালে ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে মশ্চারাইজার ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গোসলের পর ত্বক আর্দ্র থাকাকালেই ময়েশ্চারাইজার লাগালে এটি ভালোভাবে শোষিত হয়। বাজারে বিভিন্ন ধরনের মশ্চারাইজার পাওয়া যায় তবে আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী সঠিকটি বেছে নেওয়া উচিত।রাতে ঘুমানোর আগে আপনি ত্বক পরিষ্কার করে ভালো মানের ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিবেন। এতে আপনার ত্বক সারারাত হাইড্রেট থাকবে, ফলে সকালে আপনার ত্বক কোমল ও সতেজ দেখাবে।
পর্যাপ্ত পানি পান ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করাঃ শীতকালে আমরা অনেক সময় পানি কম পান করি যা ত্বক শুষ্ক হওয়ার একটি বড় কারণ। শরীর আর্দ্র রাখতে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা জরুরী। এটি ত্বকের আভ্যন্তরীণ আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। পানি ছাড়াও আপনি ফলের রস, ভেষজ চা বা সুপের মতো পানিয় গ্রহণ করতে পারেন। এগুলো শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি শীতে শক্তি যোগায়।
শীতকালে ত্বকের সুরক্ষায় পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন এ, সি এবং ই সমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি ত্বকে আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ, বাদাম এবং চিয়া সিডস ত্বকের শুষ্কতা কমাতে সহায়ক। এ ধরনের খাবার ত্বকে প্রাকৃতিক তৈলাক্ততা বাড়ায় এবং ত্বক ফাটার প্রবণতা হ্রাস করে। তাজা ফল, শাকসবজি এবং ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন খাওয়া উচিত। এটি ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় যা ত্বককে কোমল ও মসৃণ রাখে।
আরো পড়ুনঃ চিয়া সিডস খাওয়ার উপকারিতা
গরম পানিতে গোসল এড়ানোঃ গরম পানিতে গোসল করলে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে যায়, যা ত্বক শুষ্ক হওয়ার একটি বড় কারণ। তাই গোসলের সময় হালকা গরম পানি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। গোসলের সময় আপনি সাবানের পরিবর্তে মাইল্ড বডি ওয়াশ ব্যবহার করুন। সাবান ত্বক আরো শুষ্ক করে তুলতে পারে। তাই মশ্চারাইজারযুক্ত পণ্য ব্যবহারে ত্বকের শুষ্কতা কমবে। গোসলের পর আপনাকে দ্রুত ত্বক মশ্চারাইজ করতে হবে। এটি ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং শীতের শুষ্ক পরিবেশ থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
লিপ বাম ব্যবহার করাঃ শীতে ঠোঁট ফাটা একটি সাধারন সমস্যা, যা ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করতে পারে। ঠোঁটের সুরক্ষায় আপনাকে নিয়মিত লিপ বাম ব্যবহার করতে হবে। মধু, নারিকেল তেল বা শিয়া বাটার সমৃদ্ধ লিপবাম ঠোঁটের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। শুষ্ক ঠোঁটে বারবার জিহ্বা লাগানো থেকে বিরত থাকবেন। কেননা এটি ঠোঁট আরো শুষ্ক করে তুলে। পরিবর্তে লিপ বাম লাগিয়ে ঠোঁটকে নরম রাখুন। প্রয়োজনে আপনি দিনে কয়েকবার লিপবাম আপনার ঠোঁটে ব্যবহার করুন।আপনার ঠোঁট ফাটার সমস্যা বেশি হলে ঘরোয়া উপায়ে মধু এবং এলোভেরা জেল মিশিয়ে আপনার ঠোঁটে ব্যবহার করুন। এটি আপনার ঠোঁটের শুষ্কতা কমিয়ে ঠোঁট নরম ও মসৃণ রাখবে।
সঠিক পোশাক নির্বাচনঃ শীতের শুষ্কতা ও ঠান্ডা থেকে ত্বক রক্ষা করতে আপনাকে আরামদায়ক কাপড় বেছে নিতে হবে। শীতকালে ত্বকের সুরক্ষায় সুতির বা নরম কাপড়ের পোশাক পরিধান করুন। সোয়েটার বা উলের কাপড় পড়ার আগে ভিতরে সুতির পোশাক পরলে এটি ত্বকের সংস্পর্শে আসা এড়িয়ে ত্বকের শুষ্কতা বা চুলকানি কমাবে। সপ্তাহে একদিন রোদে বসুন। এতে শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব দূর হবে এবং ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ থাকবে। শীতের পোশাকের সঠিক যত্ন নিলেও ত্বকের সমস্যা কম হয়।
পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করাঃ ত্বকের সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরী। রাতে ৭-৮ ঘন্টার ঘুম ত্বকের কোষ পুনর্গঠনে সহায়তা করে যা ত্বক মসৃণ রাখে। ঘুমের সময় শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে যা ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে। এর ফলে ত্বক শীতে ফাটা বা শুষ্ক হওয়ার সম্ভাবনা কমে। আপনি ঘুমানোর আগে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে মশ্চারাইজার লাগিয়ে নিবেন। এটি আপনার ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে এবং সকালে ত্বক সতেজ দেখাবে।
শেষ কথা-শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়ার উপায়
শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করলাম। শীতকালে ত্বকের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ শীতের শুষ্ক পরিবেশ ত্বকের আদ্রতা কমিয়ে দেয়। সঠিকভাবে ত্বক পরিষ্কার, মশ্চারাইজ এবং সুরক্ষিত রাখার মাধ্যমে আপনি ত্বকের স্বাস্থ্য ধরে রাখতে পারবেন।নিয়মিত মশ্চারাইজার ব্যবহার এবং ত্বকের ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত প্রসাধনী নির্বাচন এক্ষেত্রে সহায়ক। তাছাড়া প্রচুর পরিমাণে পানি পান এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়াও ত্বক উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করে।
শীতকালে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরী কারণ ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যেও সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার ও ত্বক মশ্চারাইজ করা এবং ত্বককে ধুলাবালি থেকে রক্ষা করার মাধ্যমে আপনি ত্বকের প্রাণবন্তভাব বজায় রাখতে পারবেন। নিজের ত্বকের প্রতি সচেতন হওয়াটা শীতকালে ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখার মূলমন্ত্র। শীতের শুষ্কতা মোকাবেলা করার জন্য নিয়মিত পরিচর্যা এবং সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করুন। আপনার ত্বকের প্রয়োজন অনুযায়ী যত্ন নিলে ত্বক সুস্থ,কোমল ও উজ্জ্বল থাকবে। ত্বকের যত্ন নেওয়া শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়, এটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারার অংশ।
সাওদাকেয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url