পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রদের টাকা ইনকাম করার উপায়

পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রদের টাকা ইনকাম করার উপায় জেনে রাখা প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর একান্ত কর্তব্য। অনেক ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনার পাশাপাশি যে ইনকাম করা যায় তা জানে না। এজন্য আমাদের দেশের অনেক ছাত্ররা ছাত্র জীবনে আয় করার কোন সুযোগ তৈরি করতে পারে না।

পড়াশোনার-পাশাপাশি-ছাত্রদের-টাকা-ইনকাম-করার-উপায়

 ছাত্র অবস্থায় পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা ইনকাম করে পড়াশোনার খরচ যোগানো কঠিন কোন বিষয় নয়। আজকে আমরা পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রদের টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো নিয়ে আলোচনা করব। চলুন উপায় গুলো জেনে নেওয়া যাক।

পোস্ট সুচিপত্র

পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রদের টাকা ইনকাম করার উপায়

পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রদের টাকা ইনকাম করার উপায় অনেক রয়েছে। যা আপনি আপনার সময় ও দক্ষতা অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজন সঠিক দিক নির্দেশনা ও দায়িত্ববোধ। সঠিক পরিকল্পনা ও দক্ষতার ভিত্তিতে অফলাইন ও অনলাইন উভয়ের মাধ্যমে পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রদের ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে।

 ছাত্র অবস্থা থেকে ইনকাম করার কারণে দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় যা ক্যারিয়ার গঠনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখন আমরা পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রদের টাকা ইনকাম করার উপায় সমুহের মধ্যে একাধিক জনপ্রিয় ও কার্যকরী উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন জেনে নিই কিভাবে ছাত্ররা পড়াশোনার পাশাপাশি অফলাইন ও অনলাইন এর মাধ্যমে  ইনকাম করতে পারবে।

পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রদের অফলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায়

পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রদের টাকা ইনকাম করার উপায় অফলাইনে অনেক রয়েছে। অফলাইন উপায় বলতে এমন কাজ করাকে বুঝায় যেগুলো করার জন্য আপনাকে বাড়ির বাইরে যেতে হবে। একজন ছাত্র বিভিন্ন উপায়ে পড়াশোনার পাশাপাশি অফলাইনে নানান কাজের মাধ্যমে একটি ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারে। পড়াশোনার পাশাপাশি অফলাইনে ইনকাম করার জন্য অনেক ধরনের সুযোগ রয়েছে, যা আপনার দক্ষত্‌ সময় এবং পছন্দের উপর নির্ভর করে। নিচে কয়েকটি কার্যকরী উপায় উল্লেখ করা হলো।

প্রাইভেট টিউশন এর মাধ্যমে পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রদের টাকা ইনকাম করার উপায়ঃ পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রদের টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে পারফেক্ট উপায় হল টিউশন করে টাকা ইনকাম করা। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে প্রচলিত উপায়।অন্য কোন কাজ করে আয় করার চেয়ে ছাত্রছাত্রীরা টিউশনি করে আয় করাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। প্রাইভেট টিউশনি করে আয় করার পাশাপাশি নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি হতে থাকে।

 আপনি যদি একজন ছাত্র হয়ে থাকেন এবং আপনার যদি কোন বিষয়ের ওপর জ্ঞান বা দক্ষতা থেকে থাকে, তাহলে আপনি সেই জ্ঞান বা দক্ষতা অন্যদেরকে শেখানোর মাধ্যমে আয় করতে পারেন। টিউশনির মাধ্যমে একই সময়ে একাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে পড়িয়ে একটি ভালো মানের অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। 


কোচিং করানোর মাধ্যমে পড়াশোনার পাশাপাশি ইনকাম করাঃ বর্তমান সময়ে কোচিং করে ইনকাম করা একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। আপনি যদি কোচিং করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনি খুব সহজে এটি করতে পারবেন। কেননা ছাত্র অবস্থায় কোচিং করে ইনকাম করা খুব সহজ এবং সময় উপযোগী।

 আপনি কোন কোচিং সেন্টারে যুক্ত হতে পারেন। কোচিং প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা কিংবা অন্য কোন কাজ যেমন ম্যানেজার হিসেবে কাজ করে পড়াশোনার পাশাপাশি ইনকাম করতে পারেন। কোচিং সেন্টার গুলোতে সাধারণত পার্টটাইম হিসেবে জব করা যায়। যার ফলে নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সুযোগ থাকে।

বিভিন্ন শোরুমে পার্ট টাইম জবঃ আপনি যদি একজন ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের ব্র্যান্ডের শোরুম গুলোতে পার্ট টাইম জব করতে পারেন। অল্প কিছু সময় ডিউটি করে আপনি ভালো পরিমাণে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হবে না। কাজের প্রতি  মনোযোগী হবেন। সততার সাথে কাজ করে মালিক পক্ষের বিশ্বস্ততা অর্জন করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করে পড়াশোনার খরচ চালিয়ে যেতে পারবেন।

বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট বা ক্যাফেতে পার্ট টাইম জবঃ ছাত্রদের জন্য পার্ট টাইম জব হিসেবে কোন রেস্টুরেন্ট বা ক্যাফেতে কাজ করা আয়ের একটি ভালো উৎস। বর্তমান সময়ে আমাদের আশেপাশে রেস্টুরেন্ট বা ক্যাফের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এ সকল প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রয়োজনে প্রায় সময় বিভিন্ন ক্যাটাগরির কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে।

পড়াশোনার-পাশাপাশি-ছাত্রদের-টাকা-ইনকাম-করার-উপায়

 অনেক সময় ক্যাশিয়ার, ম্যানেজার, সেলসম্যান এ পদ গুলোতে পার্ট টাইম জব এর অফার দিয়ে থাকে। আপনি চাইলে রেস্টুরেন্টের বা ক্যাফের এইসব পদ গুলোতে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আমাদের আশেপাশের রেস্টুরেন্ট গুলোতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এইসব পদে বিভিন্ন লেভেলের ছাত্র-ছাত্রীদের দেখা যায়।

 কেননা এখানে পার্ট টাইম জব করে ইনকাম করার পাশাপাশি নিজেদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সুযোগ থাকে। তাছাড়া এটি অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ভালো একটি মাধ্যম। এ কাজগুলো করার জন্য প্রাথমিকভাবে আপনাকে একটু পরিশ্রম করতে হবে। সেটা হলো কাজের সুযোগ খোঁজার জন্য আশেপাশের বিভিন্ন নতুন রেস্টুরেন্ট বা ক্যাফেতে যেয়ে যেয়ে কথা বলতে হবে।

 যদি কোন বন্ধু বা পরিচিত রেস্টুরেন্ট বা ক্যাফেতে কাজ করে থাকে, তার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। অনেক সময় এই প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে। আপনি চাইলে বিজ্ঞপ্তি দেখে কার্যের জন্য অ্যাপ্লিকেশন করতে পারেন। এভাবে পড়াশোনার পাশাপাশি রেস্টুরেন্ট বা ক্যাফেতে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

হোম ডেলিভারি সার্ভিস এর মাধ্যমে ইনকামঃ আপনি পড়ালেখার পাশাপাশি হোম ডেলিভারি সার্ভিসের কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনি যদি বাইক বা সাইকেল চালাতে পারেন তাহলে বিভিন্ন কোম্পানির ডেলিভারি পার্টনার হিসেবে কাজ করতে পারেন। এতে প্রতিদিন কিছু সময় ব্যয় করে একটি ভালো মানের পারিশ্রমিক উপার্জন করতে পারবেন।

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বা পার্ট টাইম প্রমোশনাল কাজ করে ইনকামঃ আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন ইভেন্ট সহকারি হিসেবে কাজ করা বা প্রমোশনাল কাজে  অংশ নিতে পারেন। অনেক কোম্পানি ইভেন্ট বা প্রদর্শনীর জন্য পার্ট টাইম কর্মী খুঁজে। যেখানে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে এবং পাশাপাশি ইনকামও করতে পারে।

ফুডকার্টের ব্যবসা করে ইনকামঃ আপনি যদি একজন ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম কাজ হিসেবে কিছু খাবারের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট ফাস্ট ফুড বা পানীয় আইটেম দিয়ে এই যাত্রা শুরু করতে পারেন। দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় কাজ করে ইনকাম করার পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন। 

আপনি চাইলে কয়েকজন বন্ধু একসাথে মিলে এক কাজ শুরু করতে পারেন। এজন্য ধৈর্য নিয়ে পরিশ্রম করতে হবে। খাবারের মান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও গ্রাহক সেবা সঠিকভাবে নিশ্চিত করার মাধ্যমে এখান থেকে ভালো মানের ইনকাম করতে পারবেন।

নার্সারি বা গার্ডেনিং করে ইনকামঃ আপনার যদি নার্সারি বা গার্ডেনিং চাষ ও এর পরিবেশ সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে এবং আপনি যদি এ বিষয়ে উৎসাহী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি সহজে নার্সারি বা গার্ডেনিং করে পড়াশোনার পাশাপাশি ভালো মানের ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ফুলের চাষ কিংবা ফলের গাছের চাষ বেড়েছে। তাই খুব সহজে আশেপাশের বিভিন্ন মাধ্যমে ক্লায়েন্ট খুঁজে পাওয়া যাবে। গার্ডেনিং একজন শিক্ষার্থীর জন্য শুধু আয়ের উৎস নয় বরং এটি আশেপাশে পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে থাকে।


ফটোগ্রাফি বা ভিডিওগ্রাফি করে ইনকামঃ একজন ছাত্র চাইলে ফটোগ্রাফি বা ভিডিওগ্রাফি করে পড়াশোনার পাশাপাশি ইনকাম করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে ফটোগ্রাফি বা ভিডিওগ্রাফিতে দক্ষ হতে হবে। আপনি চাইলে ভাল কোন স্টুডিওতে কাজ করতে পারেন। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ইভেন্টে যেমন জন্মদিন, বিয়ে কিংবা অন্যান্য অনুষ্ঠানে একজন ভালো ফটোগ্রাফার বা ভিডিও গ্রাফারের চাহিদা অনেক বেশি। কাজেই আপনি পড়াশোনা পাশাপাশি ফটোগ্রাফি বা ভিডিওগ্রাফি করে একটি ভালো মানের ইনকাম করতে পারেন।

পার্লারের মাধ্যমে পড়াশোনার পাশাপাশি ইনকামঃ বিউটি পার্লারের বিজনেস কিংবা বিউটি পার্লারে পার্ট টাইম জব পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ের একটি ভালো উৎস হতে পারে। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য এই মাধ্যমটি বেশ উপযোগী ও জনপ্রিয় বটে। তাছাড়া বর্তমানে ছেলেদের জন্যও বিভিন্ন জেন্টস পার্লারও রয়েছে। বর্তমান সময়ে যেকোনো ইভেন্টে সাজগোজ ছেলে এবং মেয়েদের মধ্যে সমান তালে বেড়েছে। এর জন্য পারলারিং করে পড়াশোনার পাশাপাশি আপনি ভালো ইনকাম করতে পারবেন।

 এজন্য আপনাকে একটু দক্ষ হতে হবে। সাজগোজের বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকতে হবে। আপনি কোন ভালো ট্রেনিং সেন্টার থেকে বিউটি পার্লারের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এছাড়া অনেক পার্লার রয়েছে যেখানে বিউটিসিয়ানদের ভালো শ্যালারির বিনিময়ে নিয়োগ দিয়ে থাকেন। সেখানে পার্ট টাইম জব হিসেবে নিজেকে যুক্ত করে পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার একটি উপায় তৈরি করতে পারেন।

কারিগরি দক্ষতার কাজ করে ইনকামঃ আপনার যদি কোন টেকনিক্যাল বা কারিগরি দক্ষতা থাকে যেমন কম্পিউটার সার্ভিসিং, মোবাইল মেরামত, ইলেকট্রিক কাজ ইত্যাদি তবে সেগুলো থেকে নিয়মিত আয় করতে পারেন। আপনার কারিগরি দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম কাজ করে ভালো মানের একটি ইনকাম করতে পারেন। 

হ্যান্ডমেড পণ্য বিক্রি করে ইনকামঃ একজন শিক্ষার্থী চাইলে বিভিন্ন হ্যান্ডমেড জিনিস বানিয়ে তা বিক্রি করার মাধ্যমে আয় করতে পারে। যেমন
  • বিভিন্ন ধরনের জুয়েলারি হাতের কাজের গয়না, হার, কানের দুল, চুরি ,আংটি ইত্যাদি।
  • টেক্সটাইল এবং কাপড়, হ্যান্ডমেড শাড়ি, স্কার্প, দোপাট্টা, হ্যান্ড ব্যাগ, ভ্যানিটি ব্যাগ ইত্যাদি।
  • মৃৎশিল্প জাতীয় জিনিস যেমন , মাটির পাত্র, ভাস্কর্য, ফুলদানি ইত্যাদি।
  • কাঠের কাজ যেমন কাঠের খেলনা, শো-পিস, আসবাবপত্র ইত্যাদি।
  • বোনা পন্য যেমন উলের সোয়েটার, সাল, কার্পেট ইত্যাদি। 
  • বিভিন্ন ধরনের কাস্টমাইজ গিফট প্যাকেট বা গিফট বক্স, গহনার বক্স, স্টোরেজ বক্স, মেটাল বা কাঠের হ্যান্ডমেড বক্স ইত্যাদি।
  • হাতে আঁকা ছবি, ওয়াল আর্ট, ক্যানভাস আর্ট ইত্যাদি। 

এসব পণ্য তৈরির মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম বিজনেস করতে পারে। এ সকল পণ্য প্রচার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা যেতে পারে। যেখানে পণ্যগুলোর বিস্তারিত তথ্য ছবি ও ভিডিও প্রচার করে মানুষকে জানানো হবে। প্রথমে পরিচিত ও বন্ধু-বান্ধবদের কিংবা আত্মীয় স্বজনদের কাছে প্রচার করার মাধ্যমে কাজ শুরু করা যেতে পারে। পরে ধীরে ধীরে বড় আকার ধারণ করবে।

পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রদের অফলাইনে টাকা ইনকাম করার বেশ কয়েকটি উপায় আলোচনা করলাম। আপনার জন্য কোন উপায়টি সবচেয়ে ভালো হবে তা নির্ভর করে আপনার দক্ষতা, সময় এবং পছন্দের উপর।

পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রদের অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায়

অনলাইনে পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রদের টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় ও লাভজনক। অনলাইনে আয় করার মাধ্যম বলতে সেই সকল কাজকে বোঝায় যে কাজগুলো করে আয় করার জন্য একজন ব্যক্তিকে বাড়ির বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না, অর্থাৎ ঘরে বসেই ইনকাম করতে পারে। একজন ছাত্রের জন্য এটি বেশ উপযোগী। তবে সঠিক মাধ্যম বেছে নেওয়া ও দক্ষতা অর্জন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রদের টাকা ইনকাম করার কয়েকটি জনপ্রিয় ও কার্যকরী উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

অনলাইন টিউশনি করে ইনকামঃ যদি আপনার কোন বিষয়ে ভালো জ্ঞান থাকে তাহলে অনলাইন টিউশন বা পড়ানোর মাধ্যমে আয় করতে পারেন। অনলাইনের মাধ্যমে টিউশনি করেও ছাত্র অবস্থায় আপনি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। একজন ছাত্রের কাছে পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার মাধ্যম হিসেবে টিউশনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই টিউশনি অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও করা যায়। এটি আরো সহজ ও লাভজনক। 

অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গার শিক্ষার্থীদের টিউশনি সেবা প্রদান করে আয় করা যায়। অনলাইনে টিউশনি করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে আপনার দক্ষতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের কাছে প্রচার করতে হবে। অনলাইনে একসাথে একাধিক শিক্ষার্থী পড়ানোর সুযোগ রয়েছে। লাইভ ক্লাস করানোর পাশাপাশি পূর্বে রেকর্ড করা ক্লাস দিয়েও শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারবেন। একসাথে একাধিক ক্লাসের ভিডিও বানিয়ে নিলে পরবর্তীতে কাজের চাপ কমে যাওয়ার সুযোগ থাকে।


কনটেন্ট রাইটিং বা ব্লগিং করে ইনকামঃ ব্লগিং করে ইনকাম করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। তবে এটি সঠিক কৌশল ও ধৈর্যের সঙ্গে করতে হয়। ব্লগিং করে সফল হতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। গুগল এডসেন্স হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় যা ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন এর মাধ্যমে ইনকাম করতে সাহায্য করে। আপনি যদি মানসম্পন্ন এবং ভিজিটর বান্ধব কন্টেন্ট তৈরি করেন তাহলে গুগল এডসেন্স আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করবে এবং প্রতি ক্লিক বা ভিউ থেকে আপনি আয় করতে পারবেন। 

পড়াশোনার-পাশাপাশি-ছাত্রদের-টাকা-ইনকাম-করার-উপায়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি কোন পণ্য বা সার্ভিস এর লিংক আপনার ব্লগে শেয়ার করবেন এবং কোন ক্রেতা আপনার লিংক থেকে ক্রয় করলে আপনি কমিশন পাবেন। যদি আপনার ব্লগের একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ফোকাস থাকে এবং সেটির ভাল ট্রাফিক থাকে, তাহলে বিভিন্ন কোম্পানি আপনাকে তাদের পণ্য বা সেবা রিভিউ করতে দিতে পারে। এই স্পন্সরসিপের মাধ্যমে আপনি সরাসরি টাকা পেতে পারেন। 

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকামঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল এমন একটা মার্কেটিং প্রক্রিয়া যেখানে একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অন্যের পণ্য অথবা সেবা প্রচার করে তা বিক্রি করার মাধ্যমে কমিশন অর্জন করে থাকে। এই প্রক্রিয়ায় এফিলিয়েট মার্কেটার বিশেষ লিংক ব্যবহার করে পণ্য বা সেবা প্রচার করে থাকে। সেই লিংকে প্রবেশ করার পর কোন গ্রাহক যদি সে পণ্য বা সেবা গ্রহণ করে থাকেন তাহলে সেখান থেকে এফিলিয়েট মার্কেটার কমিশন পেয়ে থাকে। আপনি এফিলেট মার্কেটিং এর মাধ্যমে পড়াশোনার পাশাপাশি ইনকাম করতে পারেন।

আর্টিকেল লিখে ইনকামঃ আর্টিকেল লিখার চাকরি বা জব করেও একজন শিক্ষার্থী অর্থ উপার্জন করতে পারে বিভিন্ন ওয়েবসাইট প্রতিনিয়ত অনেক বিষয়ে আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকেন। অনেক বিষয়ে আর্টিকেল লেখার জন্য অনেক সময় একাধিক ব্যক্তির প্রয়োজন হয়। তখন উক্ত ওয়েবসাইটের মালিকাধীন ব্যাক্তি দক্ষ আর্টিকেল রাইটার নিয়োগ দিয়ে থাকেন। আপনি চাইলে ঘরে বসেই দক্ষতার সাথে আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে জব গুলো করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

ইউটিউব এর মাধ্যমে ইনকামঃ বর্তমানে ইউটিউব এর মাধ্যমে ঘরে বসে আয় করা একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। কোন বিষয়ে আপনার দক্ষতা বা বিশেষ আগ্রহ থাকলে সে বিষয়কে কেন্দ্র করে সুন্দরভাবে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করুন এবং মানুষের কাছে প্রচার করার জন্য বিভিন্ন সোশ্যাল প্লাটফর্মে এগুলো শেয়ার করুন। এখান থেকে যত বেশি মানুষ আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও দেখবে তত বেশি আপনার ইনকাম হবে।

ইউটিউবের পার্টনার প্রোগ্রামে যোগদান করলে আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে যা থেকে আয় করতে পারবেন। তবে এর জন্য কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে। যদি কষ্ট করে আপনি সর্তগুলো পূরণ করতে পারেন তাহলে নিয়মিত এ প্রোগ্রাম থেকে ইনকাম করতে পারবেন। আপনার চ্যানেলের ভিউ ও সাবস্ক্রাইবার বেশি হলে বিভিন্ন ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠান আপনার সাথে স্পন্সরশিপ বা ব্র্যান্ড ডিল করতে আগ্রহী হবে। এর মাধ্যমে আপনি সরাসরি অর্থ আয় করতে পারবেন। এছাড়া ইউটিউবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও ইনকাম করতে পারবেন

ফেসবুকের মাধ্যমে ঘরে বসে ইনকামঃ ফেসবুক থেকে ইনকাম করার অনেক উপায় আছে। ফেসবুকে শুধু টাইম পাসের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার না করে একজন শিক্ষার্থী চাইলে এটিকে পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার উপায় বা মাধ্যম বানাতে পারে। এখানে ইউটিউবের মত বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিডিও বানিয়ে আপলোড করা যায়। বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করে যদি কেউ সেগুলো ক্রয় করে তাহলে আপনি কমিশন পাবেন।

আপনার ফেসবুক পেজ বা প্রোফাইলের ফলোয়ার বেশি হলে বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্র্যান্ড আপনাকে স্পন্সরড পোস্ট করতে বলবে এবং আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ফেসবুক মার্কেট প্লেসে পণ্য বিক্রি করা একটি জনপ্রিয় উপায়। আপনি নিজেই কিছু তৈরি করে বা অন্যান্য পণ্য বিক্রি করতে পারেন। ফেসবুকে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে তা থেকে অর্থ আয় করতে পারেন। ফেসবুকের 'Ad Breaks' ফিচারটি ব্যবহার করে আপনি ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করতে পারবেন।

অনলাইনে মেন্টরি সেবা প্রদান করে ইনকামঃ অনলাইনে মেন্টালি সেবা প্রদান করে ইনকাম করার বেশ কিছু উপায় রয়েছে। আপনি যদি বিশেষ কোন দক্ষতা বা অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে অন্যদের সহায়তা করতে আগ্রহী হন, তবে মেন্টরি সেবা প্রদান করে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি ফ্রিল্যান্স প্লাটফর্মে যোগদান করতে পারেন। সেখানে ক্লায়েন্টরা বিভিন্ন বিষয়ে মেন্টর খুঁজে থাকেন এবং আপনি আপনার সেবা প্রদান করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

আপনি আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট বা ব্লক তৈরি করতে পারেন। যেখানে আপনার মেন্টরি সেবার বিস্তারিত উল্লেখ করবেন । সেখানে আপনি বিভিন্ন প্যাকেজ এর মাধ্যমে মেন্টরি সেবা প্রদান করতে পারেন এবং সরাসরি ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করতে পারেন। ওয়েবসাইটে পেমেন্ট সিস্টেম যুক্ত করলে সরাসরি অর্থ গ্রহণের সুবিধা পাবেন। কিছু বিশেষায়িত মেন্টরি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে আপনি আপনার প্রোফাইল তৈরি করে মেন্টরি সেবা দিতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার উপায়

ফ্রিল্যান্সিং বর্তমানে একটি জনপ্রিয় আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে। যেখানে আপনি নিজের দক্ষতা গুলি ব্যবহার করে বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে কাজ করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয় করার বেশ কিছু উপায় আছে। নিচের বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
 
গ্রাফিক ডিজাইন করে ইনকামঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন একটি সৃজনশীল ক্ষেত্র যা প্রযুক্তি ও শিল্পের মেল বন্ধন। আজকের ডিজিটাল যুগে গ্রাফিক্স ডিজাইন দিয়ে ইনকাম করার অনেক সুযোগ রয়েছে। আপনি চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন। এজন্য আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেমন Upwork, Fiveer, Freelancer এইসব প্লাটফর্মে আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী প্রজেক্ট গ্রহণ করতে পারেন। সঠিক প্রোফাইল এবং ভালো পোর্টফলিও থাকলে আপনি দ্রুত কাজ পাবেন। 


আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন টেমপ্লেট তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনি সেগুলো বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এ বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারেন। আকর্ষণীয় পোস্ট এবং প্রচারাভিজান তৈরি করে ব্যবসা গুলোকে সাহায্য করতে পারেন। এর মাধ্যমে ব্র্যান্ডের জন্য ডিজাইন সেবা প্রদান করে ভালো ইনকাম করা সম্ভব। এছাড়া আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনে দক্ষ হন তবে অনলাইন কোর্স তৈরি করে তা বিক্রি করে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে ইনকামঃ এটি হলো ওয়েবসাইট তৈরি বা ওয়েব এপ্লিকেশন তৈরি করার প্রক্রিয়া। একজন শিক্ষার্থী পড়াশোনার পাশাপাশি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে আয় করতে পারেন। আবার নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারেন। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এই সম্পর্কিত নানান কাজ রয়েছে। সেখানে ছোটখাটো প্রজেক্ট থেকে শুরু করে বড় ধরনের প্রজেক্টে কাজ করে ভালো পরিমাণে অর্থ আয় করা সম্ভব। আপনি কাস্টম ওয়েবসাইট তৈরি করে ক্লাইন্ট এর কাছে সরাসরি বিক্রি করতে পারেন।

 এটি বিশেষ করে ই-কমার্স, ব্লগ বা বিজনেস ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে জনপ্রিয়। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখানোর জন্য আপনি ভিডিও কোর্স তৈরি করে বিভিন্ন সাইটে বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান ওয়েবসাইটের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিয়মিত ডেভেলপারদের সহায়তা নেয়। এ ধরনের পরিষেবা দিয়ে মাসিক ভিত্তিতে আপনি আয় করতে পারেন। তবে ওয়েব ডেভেলপমেন্টে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য নতুন প্রযুক্তি ও টুথ সম্পর্কে জ্ঞান রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ভিডিও এডিটিং করে ইনকামঃ পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রদের টাকা ইনকাম করার উপায় সমূহের মধ্যে ভিডিও এডিটিং হচ্ছে অন্যতম একটি উপায়। আপনি ঘরে বসেই ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন যে সকল ছাত্র-ছাত্রী ভিডিওগ্রাফি বা ফটোগ্রাফি তে বেশ দক্ষ তাদের ক্ষেত্রে এটি একটি উপযুক্ত পেশা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। ভিডিও এডিটিং করে ইনকাম করার জন্য বেশ কিছু উপায় রয়েছে যা আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে ভিডিও এডিটিং কাজের চাহিদা অনেক। আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ শুরু করতে পারেন। আপনি নিজে একটি ইউটিউব চ্যানেল শুরু করতে পারেন। যেখানে ভিডিও এডিটিং বিষয়ক টিউটোরিয়াল শেয়ার করবেন। আপনার চ্যানেল বড় হলে আপনি বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করতে পারবেন। আপনার ভিডিও এডিটিং স্কিল ব্যবহার করে অনলাইন প্লাটফর্ম যেমন Udemy, Skillshare- এ কোর্স তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। এতে আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি বেশ ভালো ইনকাম করতে পারবেন।

শেষ কথা - পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রদের টাকা ইনকাম করার উপায়

পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রদের টাকা ইনকাম করার উপায় নিয়ে আলোচনা শেষে বলা যায়, সময় এবং দায়িত্ব সামঞ্জস্য রেখে কাজ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং, টিউশন কিংবা অনলাইন  ব্যবসার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আয় করতে পারে। তবে এটি তাদের মূল লক্ষ না, অর্থাৎ শিক্ষার মান ক্ষুন্ন না করে এই সব কাজ করা উচিত। সঠিক পরিকল্পনা, সময় ব্যবস্থাপনা এবং মনোযোগ দিয়ে কাজ করলে একজন শিক্ষার্থী পড়াশুনার পাশাপাশি সফলভাবে অর্থ উপার্জন করতে পারে।

পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রদের টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কিভাবে ছাত্র অবস্থায় কাজ করে ইনকাম করা যায়। উপায় গুলো মাথায় রেখে লক্ষ্য স্থির করে সময় এবং ধৈর্য নিয়ে পরিশ্রম করবেন। ইনশাল্লাহ সফলকাম হবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাওদাকেয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url