অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট ২০২৪


অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট এর ব্যবহারে বর্তমান বিশ্ব দ্রুত ডিজিটালাইজেশন এবং টেকনোলজির উন্নতির ফলে অনলাইন ইনকাম করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ নিজেদের সৃজনশীলতা এবং দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বাড়তি আয় করতে চাইছেন। এই প্রক্রিয়ায় বিকাশ পেমেন্টের মতো ডিজিটাল প্লাটফর্ম গুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

অনলাইন-ইনকাম-সাইট-বিকাশ-পেমেন্ট

 আজকে আমরা আলোচনা করব অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট সম্পর্কে। আজকের আলোচনা থেকে জানতে পারবেন কিভাবে ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। 

পোস্ট সুচিপত্র 


অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

অনলাইন ইনকাম সাইড বিকাশ পেমেন্ট এর বিষয় সম্পর্কে এখন আমরা আলোচনা করব। কিভাবে ঘরে বেসে অনলাইন প্লাটফর্মে কাজ করা যায় তা আমরা বিস্তারিত জানব। আপনাদের সুবিধার্থে কয়েকটি অনলাইন ইনকাম সাইট সম্পর্কে তুলে ধরা হলো।

ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকামঃ ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট এর একটি উপায়। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য প্রথমে আপনাকে কিছু মৌলিক ধারণা জানতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি স্বাধীন পেশা যেখানে আপনি ক্লায়েন্ট এর জন্য নির্দিষ্ট কাজ করবেন এবং তার বিপরীতে পারিশ্রমিক পাবেন। আপনার আগ্রহ এবং দক্ষতার উপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্র নির্বাচন করুন। যেমন লেখা লিখি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং।

আপনি এসব কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করার পর আপনার কাজের নমুনা প্রদর্শনের জন্য আপনাকে একটি কাজের পোর্টফলিও তৈরি করতে হবে। এটি নতুন ক্লাইন্টদের কাছে আপনার দক্ষতা প্রমাণ করতে সহায়ক হবে। আপনি নিজের প্রকল্পের কাজ বা ফিন্যান্স প্ল্যাটফর্মে নেওয়ার ছোট কাজ অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন। আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্ম যেমন  Upwork, Fiveer, Freelancer, Toptalএই সবে নিবন্ধন করতে পারেন। সঠিক প্ল্যাটফর্ম বেছে নেওয়া আপনার দক্ষতার উপর নির্ভর করে।

এরপর আপনি ফ্রিল্যান্স প্লাটফর্মে কাজের বিজ্ঞাপন গুলো নিয়মিত দেখতে থাকবেন এবং আপনার দক্ষতার সাথে সংগতিপূর্ণ কাজের জন্য আবেদন করবেন। আপনার আবেদনপত্রে আপনার প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতা ও কাজের পদ্ধতি উল্লেখ করবেন। এভাবে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং একটি স্বাধীন এবং লাভজনক ক্যারিয়ার হতে পারে তবে এতে প্রচুর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায় প্রয়োজন। আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ক্লাইন্ট এর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার উপর মনোযোগ দিবেন। তাহলে আপনি সফল হতে পারবেন। 

ব্লগিং করে অনলাইন ইনকামঃ ব্লগিং হলো অনলাইনে লেখার একটি স্বতন্ত্র প্রক্রিয়া। এখানে আপনি একটি শক্তিশালী ওয়েবসাইট তৈরি করে নিয়মিত আপনার লেখা প্রকাশ করতে পারবেন। যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনি ব্লগ লিখবেন তা অবশ্যই দুটিরুচিসম্মত, জনপ্রিয়, প্রয়োজনীয় তথ্যবহুল এবং মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। নিয়মিত ওয়েবসাইটে ব্লগিং পোস্ট করে টাকা আয় করার জন্য আপনাকে ভালো একজন রাইটার হতে হবে।

কোন বিষয় সম্পর্কে লেখার পূর্বে সে বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে তা সঠিকভাবে উপস্থাপন করার যোগ্যতা আপনার মধ্যে থাকতে হবে। সঠিক ও সুন্দরভাবে কন্টেন্ট লেখার মাধ্যমে আপনি নিজের ওয়েবসাইট থেকেও ইনকাম করতে পারবেন। আবার আপনি চাইলে অন্যদের ওয়েবসাইটে আপনার লেখা কন্টেন প্রকাশের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। ধারাবাহিকভাবে মানসম্মত লেখার মাধ্যমে ব্লগিং করে প্রতি মাসে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকামঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি পদ্ধতি যেখানে আপনি কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রমোশন করেন এবং সে প্রোডাক্ট বিক্রি হলে লিড জেনারেট হলে কমিশন পাবেন। প্রথমে আপনি একটি নিস বেছে নিবেন যেখানে আপনি আগ্রহী এবং যার প্রতি আপনার লক্ষ্য গ্রাহকদের আকর্ষণ করবে। উদাহরণস্বরূপ প্রযুক্তি, ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ফিটনেস, ভ্রমণ ইত্যাদি।

বিভিন্ন কোম্পানি ও অনলাইন প্লাটফর্মের এফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিয়ে তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রমোট করা শুরু করুন। জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম গুলোর মধ্যে রয়েছে Amazon, Flipkart Affiliate, Ckick Bank, Share Asale, CJ Affiliate, আপনি নিজের একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করুন যেখানে আপনি এফিলিয়েট প্রোডাক্ট রিভিউ গাইড বা প্রোডাক্ট প্রমোশনের মাধ্যমে ভিজিটরদের আকর্ষণ করতে পারবেন।

গুণগত মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করুন যাতে পাঠকরা আপনার লিংক থেকে প্রোডাক্ট কিনতে আগ্রহী হয়। এছাড়াও আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক গুলি প্রমোট করার জন্য সামাজিক মাধ্যম যেমন facebook, instagram, youtube ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও ইমেইল মার্কেটিংও একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। যেখানে আপনি সাবস্ক্রাইবদের কাছে প্রোডাক্ট রিভিউ পাঠাতে পারেন। প্রতিটি সেল বা রেফারেলের জন্য আপনি নির্দিষ্ট হারে কমিশন পাবেন। এ প্রক্রিয়ায় কাজ করলে সময়ের সাথে সাথে অনলাইন থেকে আপনি একটি ভালো মানের ইনকাম করতে পারবেন।


অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে ইনকামঃ অনলাইনে কোর্সের মাধ্যমে আয় করার একটি জনপ্রিয় উপায় রয়েছে যা আপনি আপনার দক্ষতা ও জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে বেছে নিতে পারেন ।Udemy, Coursera, Skillshare এগুলো অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি আপনার কোর্স আপলোড করতে পারেন. এই প্লাটফর্ম গুলো আপনার কোর্স বিক্রির জন্য বিশাল শিক্ষার্থী সরবরাহ করে। আপনি চাইলে নিজের ওয়েবসাইটে কোর্স বিক্রি করতে পারেন। 

এজন্য আপনি ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন প্লাটফর্ম যা আপনাকে সহজে কোর্স তৈরি এবং সাপ্লাইয়ের সুযোগ করে দেবে। এছাড়াও অনলাইনে শিক্ষকতা করার মাধ্যমে ও আয় করা সম্ভব। আপনি যে বিষয়ে দক্ষ তা অন্যদের কাছে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি হতে পারে এবং যাদের কাছে আপনার কোর্স বা সেবা দিবেন তাদের থেকে বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারবেন।

স্টক ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনলাইনে ইনকামঃ স্টপ ফটোগ্রাফি বলতে এমন একটি মাধ্যম বা প্রক্রিয়াকে বুঝায় যেখানে ফটোগ্রাফাররা তাদের তোলা ছবি বা ভিডিও বিভিন্ন স্টক ফটোগ্রাফির পেজে বা ওয়েবসাইটে আপলোড করতে পারে এবং সেখান থেকে বিভিন্ন মানুষ তাদের প্রয়োজনে বা পছন্দ হলে সেগুলো ক্রয় করতে পারে। যেমন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ডিজাইনার বা ব্লগার এসব ওয়েবসাইটে তাদের প্রয়োজনীয় ছবি খোঁজ করেন।

আপনি যদি একজন দক্ষ ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন তাহলে খুব সহজেই এই কাজটির মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। চাইলে ভালোমতো এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েও কাজ শুরু করতে পারবেন। গুণগত ছবি তোলা থেকে শুরু করে ছবি এডিটিং এর বিভিন্ন নিয়ম কানুন সম্পর্কে আপনাকে ভালোভাবে জানতে হবে। বর্তমান বাজারে প্রয়োজন আছে এমন বিষয়ের উপর ফটোগ্রাফি করতে হবে।

স্টক ফটোগ্রাফির বিভিন্ন সাইট যেমন Adobe stock, Shutter stock ইত্যাদিতে রেজিস্ট্রেশন করে নিয়ম মাফিক প্রতিনিয়ত আপনার তোলা ছবি আপলোড করতে পারেন। এখান থেকে আপনার ছবি বিক্রি হলে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন পেয়ে থাকবেন। এখানে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেগুলো থেকে আপনি বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

অনলাইনে সেবা প্রদানের মাধ্যমে ইনকামঃ আপনি যদি কোন বিষয়ে বিশেষভাবে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে সে বিষয়ের উপর অনলাইনের মাধ্যমে সেবা প্রদান করে আয় করতে পারবেন এবং পেমেন্ট মাধ্যম হিসেবে বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন। এটি শুরু করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি প্লাটফর্ম নির্বাচন করে নিতে হবে যেমন facebook, whatsapp, জুম কিংবা একটি ওয়েবসাইট ইত্যাদি।

এখানে সোশ্যাল মিডিয়া গুলোকে প্রচারের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এবং ওয়েবসাইটে আপনি যে বিষয়ে দক্ষ কিংবা যেটিকে কেন্দ্র করে মেন্টরি সেবা দেওয়ার কথা ভাবছেন সেগুলোর সকল বিষয়বস্তু যেমন টিউটোরিয়াল বা ব্লক প্রকাশ করতে পারেন। মানুষ অর্থের বিনিময়ে এগুলো আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে দেখতে বা শিখতে পারবে। এভাবে আপনি মেন্টরি সেবা প্রদান করে বিকাশের মাধ্যমে অনলাইনে আয় করতে পারেন।

অনলাইন টিউশনি করে ইনকামঃ যদি আপনার কোন বিষয়ে ভালো জ্ঞান থাকে তাহলে অনলাইন টিউশন বা পড়ানোর মাধ্যমে আয় করতে পারেন। অনলাইনের মাধ্যমে টিউশনি করেও ভালো ইনকাম করতে পারবেন। একজন শিক্ষকের কাছে আয় করার মাধ্যম হিসেবে টিউশনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। টিউশনি অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনে করা যায়। এটি আরো সহজ ও লাভজনক।

অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গার শিক্ষার্থীদের টিউশনি সেবা প্রদান করে আয় করা যায়। অনলাইনে টিউশনি করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে আপনার দক্ষতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের কাছে প্রচার করতে হবে। অনলাইনে একসাথে একাধিক শিক্ষার্থী পড়ানোর সুযোগ রয়েছে। লাইভ ক্লাস করানোর পাশাপাশি পূর্বে রেকর্ড করা ক্লাস দিয়েও শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারবেন। 

বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে অনলাইন ইনকাম

আমরা অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট নিয়ে ইতিমধ্যে অনেকগুলো উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এগুলো ছাড়াও আরো কয়েকটি অ্যাপস রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে বা যেগুলো তে কাজ করে বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট সংগ্রহ করা সম্ভব। চলুন সেগুলো সম্পর্কে এখন জেনে নিই।

অনলাইন-ইনকাম-সাইট-বিকাশ-পেমেন্ট

Clipclap অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইনে ইনকামঃ এটি একটি মোবাইল অ্যাপস যা বিনোদনমূলক ভিডিও দেখার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদেরকে আয় করার সুযোগ করে দেয়। এখানে ব্যবহারকারীরা ভিডিও দেখার পর পয়েন্ট অর্জন করে থাকে যা পরবর্তীতে নগদ টাকা বা কিওয়ার্ডে পরিণত হয়। ভিডিওগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছোট এবং আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। পাশাপাশি অনেক সময় গেম কিংবা কুইজ খেলার  অকশন ও দেখা যায়।

এখান থেকে অতিরিক্ত পয়েন্ট অর্জন করার সুযোগ থাকে আবার নতুন কোন ব্যক্তিকে এই অ্যাপে ব্যবহারকারী হিসেবে যোগদান করার জন্য ইনভাইটেশন পাঠানোর মাধ্যমেও অতিরিক্ত পয়েন্ট অর্জন করা সম্ভব। পয়েন্ট গুলো পরবর্তীতে নগদ অর্থে পরিণত হলে বিকাশ, নগদ কিংবা অন্যান্য পেমেন্ট মাধ্যমে সংগ্রহ করার সুযোগ আছে। তবে এটি ব্যবহারের সময় আপনাদের সচেতন থাকা ও শর্তাবলী মনে রাখা অতীব জরুরী।


Shopily থেকে অনলাইন ইনকামঃ Shopily আরো একটি জনপ্রিয় অনলাইন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। এটি ব্যবসায়ীদেরকে খুব সহজে অনলাইনে দোকান খোলা এবং পরিচালনা করার সুযোগ করে দিয়ে থাকে। এটি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা পণ্য বিক্রি করে বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট সংগ্রহ করতে পারে। এখানে নিজস্ব পন্য তৈরি করে বিক্রি করার পাশাপাশি বিভিন্ন সরবরাহকারীদের নিকট থেকে পণ্য নিয়েও বিক্রি করার সুযোগ রয়েছে। 

এই কাজ শুরু করার জন্য Shopily এই ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট ওপেন করা লাগবে। এরপর সেখানে আপনার দোকানের নাম, ঠিকানা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করবেন। আপনি যে পণ্যগুলো নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান সেগুলোর বিস্তারিত বর্ণনা অর্থাৎ মূল্য, বিবরণ, ছবি ইত্যাদি যুক্ত করবেন। পেমেন্টের মাধ্যম হিসেবে বিকাশ কিংবা অন্যান্য পেমেন্ট গেটওয়ে যুক্ত করার সুযোগ পাবেন। তবে এখান থেকে বিকাশে পেমেন্ট পাওয়ার জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়।

যেহেতু এখানে সরাসরি বিকাশে পেমেন্ট পাওয়ার সুযোগ থাকে না এজন্য বিভিন্ন তৃতীয় পক্ষের পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করা হয়। এরপর সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার পণ্যগুলোর প্রচার শুরু করুন। এর মাধ্যমে অর্ডার আসা শুরু হলে পন্য বিতরণ ও গুণগত গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করুন। এটি একটি শক্তিশালী অনলাইন প্লাটফর্ম যেখান থেকে সঠিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি ভালো ইনকাম করা সম্ভব। 

Shopup Reseller এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকামঃ Shopup Reseller হলো এমন একটি প্লাটফর্ম বা প্রোগ্রাম যা মূলত বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। ছোট ব্যবসা গুলো বাড়ানোর জন্য মূলত এ প্রোগ্রামটি তৈরি করা হয়েছে। এখানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য পুনঃ বিক্রেরয় সুযোগ দেওয়া হয়। এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে এর তালিকাভুক্ত পণ্যগুলো ক্রয় করে বিক্রি করা যায়।

এই কাজটি করার জন্য প্রথমেই Shopup Reseller এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সেখানে আপনার ব্যবসার বিভিন্ন তথ্যের পাশাপাশি আপনার নাম, মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি দিতে হবে। এভাবে রেজিস্ট্রেশন শেষ হলে সেখানে পণ্য তালিকা থেকে আপনি আপনার পছন্দের পণ্যগুলো নির্বাচন করতে পারবেন। এরপর উক্ত পণ্যগুলোর জন্য অর্ডার দিয়ে তা সংগ্রহ করতে হবে।

এরপর পণ্যগুলো নিকট আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, সোশ্যাল মিডিয়া বা নিজস্ব দোকানের মাধ্যমে মার্কেটিং প্রচার করতে হবে এবং সেগুলো বিক্রয়ের পর পেমেন্ট সংগ্রহ করা যাবে। Shopup Reseller বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়ে এবং বিকাশের মাধ্যমে সংগ্রহের সুযোগ প্রদান করে থাকেন। আপনি যদি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন এবং ই-কমার্সের মাধ্যমে আয় করতে চান তাহলে এটি আপনার জন্য একটি সহজ ও লাভজনক মাধ্যম হতে পারে। 

Reward XP ব্যবহার করে অনলাইন ইনকামঃ Reward XP আরেকটি অনলাইন প্লাটফর্ম। যেখানে ব্যবহারকারী বিভিন্ন কার্যকলাপের মাধ্যমে অনলাইন থেকে আয় করে থাকেন অর্থাৎ এখানেও বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে পয়েন্ট অর্জন করার সুযোগ থাকে এবং সেগুলো পরবর্তীতে নগদ টাকায় রূপান্তর হয়ে বিকাশ কিংবা অন্যান্য মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করা যায়। এখানে ব্যবহারকারীরা গেম খেলে, ভিডিও দেখে পয়েন্ট অর্জন করতে পারে।

এটি শুরু করার জন্য Reward XP এর অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে গিয়ে একাউন্ট খুলতে হবে. এরপর সেখানে বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে নিজের পছন্দনীয় কার্যক্রম নির্বাচন করে সেগুলোতে অংশগ্রহণ করতে হবে। অনেক ব্যবহারকারীর কাছে এই প্লাটফর্মটি সহজে টাকা আয়ের মাধ্যম হলেও অনেকে এটিকে বেশ সময় সাপেক্ষ বলে মনে করেন। যেহেতু এটি একটি অনলাইন প্লাটফর্ম তাই এটি ব্যবহার করার সময় অবশ্যই বিভিন্ন বিষয় মাথায় রাখার পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সকলকে অবগত থাকতে হবে। 

Cashzine ব্যবহার করে অনলাইন ইনকামঃ Cashzine একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন যেখানে নিউজ কিংবা বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট পড়ার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আয় করার একটি সুযোগ পেয়ে থাকেন। এটি মূলত কনটেন্ট শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে ইউজাররা বিভিন্ন বিষয়ের উপর কন্টেন্ট পরে পয়েন্ট অর্জন করে থাকেন এবং সেই পয়েন্টগুলো পরবর্তীতে নগদের রূপান্তর করা হয়। এখান থেকে আয় করার জন্য প্রথমে এই অ্যাপসটি ডাউনলোড করতে হয়।

গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপেল অ্যাপ স্টোর থেকে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিজস্ব মোবাইল নম্বর বা সোশ্যাল একাউন্ট দিয়ে রেজিস্ট্রেশন বা লগইন করতে হবে। এরপর এই অ্যাপের ভেতরে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে থাকা বিভিন্ন পোস্ট পড়তে পারবেন এবং সেগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট পয়েন্ট অর্জন করবেন। এখানে বিভিন্ন শেয়ারিং অপশন থাকে অর্থাৎ আপনিও আপনার ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ অথবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে এ পোস্টগুলো শেয়ার করার মাধ্যমে অতিরিক্ত পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন।

 Wexopay অ্যাপস থেকে অনলাইন ইনকামঃ এটি একটি অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে যা মূলত ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের পেমেন্ট প্রক্রিয়াকে সহজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।এটি ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট সলুশন প্রদান করে থাকেন অর্থাৎ এটির মাধ্যমে অনলাইনে সহজে পেমেন্ট গ্রহণ করা যায়। ব্যবসায়ীরা পণ্য বিক্রি করার জন্য এবং ফ্রিল্যান্সাররা তাদের কাজ করার জন্য এর মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারে।

এটি ব্যবহার করার জন্য প্রথমে এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে বিভিন্ন তথ্য প্রদান করার মাধ্যমে সাইন আপ করতে হবে। এরপর এখানে ব্যবসার বা ফ্রিল্যান্সিং এর প্রোফাইল পূরণ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে। তারপর পেমেন্ট মেথড হিসেবে আপনার বিকাশে তথ্য দিয়ে পূরণ করুন। ফ্রিল্যান্সিং থেকে শুরু করে ই-কমার্স, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, অনলাইন কোর্স ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে পেমেন্টের মাধ্যম হিসেবে Wexopay ব্যবহার করতে পারেন।

দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করার অ্যাপস 


অনলাইন-ইনকাম-সাইট-বিকাশ-পেমেন্ট

অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিভিন্ন অ্যাপস থেকে দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করা। দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করার জন্য বেশ কিছু নতুন এবং কার্যকারী অ্যাপস রয়েছে যা ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের সুযোগ দিচ্ছে। তবে বেশিরভাগ অ্যাপস বা প্ল্যাটফর্ম থেকে আয় করা নির্ভর করে আপনার কাজের দক্ষতা, সময় এবং সেই অ্যাপ গুলোর নীতিমালার উপর। কিছু সাধারণ ও বিশ্বস্ত অ্যাপের তালিকা নিচে দেওয়া হল যেগুলো থেকে আপনি কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।

Click Worker: Click Worker মাইক্রো ট্রাস্ট করার জন্য এটি একটি জনপ্রিয় প্লাটফরম। এখানে ডাটা এন্ট্রি, সার্ভে পূরণ, ওয়েবসাইট রিসার্চ করে ইনকাম করতে পারবেন। প্রতিদিন নিয়মিত কাজ করলে দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

Task mate by Google: গুগলের টাস্ক মেট একটি নতুন অ্যাপস। যেখানে ব্যবহারকারীরা সহজে কাজ করার সুযোগ পায়। যেমন দোকানের ফটো তোলা, বিল বোড চেক করা, বিভিন্ন ছোট ছোট কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারেন। কাজগুলো সম্পন্ন হলে সরাসরি বিকাশ বা অন্য পেমেন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে পেমেন্ট নেওয়া যায়। এই অ্যাপস এ নিয়মিত কাজ করলে দিনে ৫০০ টাকারও বেশি ইনকাম করা সম্ভব।

 Field Agent: Field Agent হল এমন একটি অ্যাপ যেখানে আপনি ছোট ছোট কাজ যেমন দোকানে প্রোডাক্ট চেক করা, সার্ভে করা এবং ফটো আপলোড করার মাধ্যমে বর্জন করতে পারেন। এখানে কাজের ভিত্তিতে অর্থ প্রদান করা হয় এবং প্রতিদিন কয়েকটি কাজ সম্পন্ন করতে পারলে দিনে ৫০০ টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

Foap: Foap একটি ফটোগ্রাফি অ্যাপ যেখানে আপনি আপনার তোলা ছবি বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি ভাল ফটোগ্রাফার হন এবং আপনার যদি ছবি তোলার প্রতি আগ্রহ থাকে তবে এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করে আপনি দিনে 500 টাকার বেশি উপার্জন করতে পারবেন।

Swagbuks/Google Opinion Rewards: এটি একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম। জরিপ, ভিডিও দেখা বা ছোট ছোট কাজ করার মাধ্যমে এখান থেকে অর্থ উপার্জন করা যায়। এখানে আপনি নিয়মিত কাজ করলে দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

Cash Zine: এটি একটি বেশ পরিচিত প্ল্যাটফর্ম. সংবাদ পড়া বা ভিডিও দেখা এবং শেয়ার করার মাধ্যমে এখান থেকে কিছু অর্থ উপার্জন করা যায়. আপনি যদি নিয়মিত এখানে কাজ করেন তবে দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।  

অনলাইনে গেম খেলে টাকা ইনকাম করার উপায়

অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট এর মধ্যে আরও একটি উপায় হচ্ছে অনলাইনে গেম খেলে টাকা ইনকাম করা। অনলাইনে গেম খেলে টাকা ইনকাম করা বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে এটি সঠিক উপায়ে এবং সতর্কতার সাথে করতে হয়। নিচে কিছু উপায় দেওয়া হলো যেগুলোর মাধ্যমে গেম খেলে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

ই- স্পোর্টসঃ ই স্পোর্টস হচ্ছে প্রতিযোগিতামূলক ভিডিও গেমিং। আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট গেমে দক্ষ হন, তবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় ই স্পোর্টস টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারেন। এই টুর্নামেন্ট গুলোতে পুরস্কার হিসেবে বড় অংকের টাকা দেওয়া হয়। জনপ্রিয় ই-স্পোর্টস গেমগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ 

  • Dota 2
  • League of Legends
  • Fortnite
  • PUBG                              
গেম স্ট্রিমিংঃ যদি আপনার গেম খেলার দক্ষতা থাকে এবং আপনি সে খেলা সরাসরি সম্প্রচার করতে পারেন তাহলে youtube গেমিং বা ফেসবুক গেমিং এর মাধ্যমে স্ট্রিমিং করে ইনকাম করতে পারেন। স্টিমিং এর মাধ্যমে ইনকাম করা যায় বিজ্ঞাপন, দাতব্য অনুদান, সাবস্ক্রিপশন এবং স্পনসরসিপের মাধ্যমে। 

গেম রিভিউ ও ব্লগিংঃ আপনি যদি গেমিং সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন তাহলে গেমের রিভিউ লিখে বা ব্লগ লিখে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনার রিভিউ বা ব্লক থেকে বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে আয় করা যায়। গেমিং ব্লগে ট্রাফিক বাড়লে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্পন্সরশিপ ও পাওয়া যায়। যার ফলে ইনকামও বেড়ে যায়।
পেইড গেম টেস্টিংঃ গেম ডেভেলপাররা তাদের গেম প্রকাশ করার আগে সেটি পরীক্ষা করার জন্য গেম টেস্টারদের নিয়োগ দেয়। একজন গের টেস্টার হিসেবে আপনি গেম খেলে  তার বিভিন্ন বাগ খুঁজে বের করবেন এবং সেগুলো রিপোর্ট করবেন। এটি একটি নির্দিষ্ট আয়ের সুযোগ তৈরি করে। পেইড গেম টেস্টিং এর মাধ্যমে গেম খেলে আপনি মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

মোবাইল গেমিং অ্যাপসের মাধ্যমে ইনকামঃ বিভিন্ন মোবাইল গেম অ্যাপস রয়েছে যেগুলো খেলে আপনি ইনকাম করতে পারেন। কিছু গেম রয়েছে যেখানে টুর্নামেন্ট বা চ্যালেঞ্জে অংশ গ্রহন করে ইনকাম করা যায়। জেমনঃ
  • Mistplay
  • Swagbucks
  • Skillz
NFT গেমসঃ বর্তমান সময়ে NFTভিত্তিক গেমগুলো জনপ্রিয়তা পাচ্ছে. গেমের ভেতরে আইটেম কিনে বা বিক্রি করে কিপ্টোকারেন্সি আয় করা যায়। উদাহরণ হিসেবে Axie Infinity, The Sundbox, এবং Decentraland এর মতো গেম উল্লেখযোগ্য। 


গেম ডেভেলপমেন্ট এবং ফ্রিল্যান্সিংঃ যদি আপনি গেম ডেভেলপমেন্ট এর উপর দক্ষতা অর্জন করেন তাহলে নিজেই গেম বানিয়ে বিভিন্ন প্লাটফর্মে বিক্রি করতে পারেন। এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোতে গেম তৈরি,  ডিজাইনিং, টেস্টিং ইত্যাদি কাজের সুযোগ রয়েছে। গেম ডেভেলপমেন্ট এর মাধ্যমেও আপনি বেশ ভালো টাকা ইনকাম করতে পারেন।

সতর্কতাঃ
  • স্ক্যাম বা প্রতারণার হাত থেকে সাবধান থাকুন। সব ওয়েবসাইট বা প্ল্যাটফর্মই নিরাপদ নয়।
  • নির্ভরযোগ্য এবং প্রতিষ্ঠিত প্ল্যাটফর্ম গুলোই ব্যবহার করুন।
  • অতিরিক্ত সময় ব্যয় না করে ব্যালেন্স মেইনটেইন করুন।

এই উপায় গুলো অনুসরণ করে সঠিকভাবে কাজ করলে অনলাইনে গেম খেলে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। 

বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম করার সাইট পেমেন্ট বিকাশ

অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট এর আরো একটি সাইট হচ্ছে বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম করার সাইট। বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম করার অনেক ওয়েবসাইট ও অ্যাপ রয়েছে। তবে এ ধরনের সাইট থেকে আয় করা কঠিন এবং অধিকাংশ সময় খুব কম অর্থ প্রদান করে। কিছু জনপ্রিয় সাইট ও প্লাটফর্মে অ্যাড দেখে অর্থ আয়ের সুবিধা পাওয়া যায়। তবে এগুলো ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকা উচিত, কারণ অনেক সাইট স্ক্যাম হতে পারে। বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম করার কয়েকটি সাইট নিচে তুলে ধরা হলো।

GPT সাইটঃ এসব সাইটে অ্যাড দেখা, সার্ভে পূরণ, অ্যাপ ডাউনলোড ইত্যাদির মাধ্যমে আয় করা যায়। যেমনঃ 
  • Swagbucks: বিভিন্ন ধরনের কাজ যেমন বিজ্ঞাপন দেখা, সার্ভে পুরন, ভিডিও দেখা ইত্যাদির মাধ্যমে পয়েন্ট অর্জন করা যায়, যা পরে গিফট কার্ড বা নগদ অর্থ রূপান্তর করা যায়।
  • Inbox Dollars: এখানে বিজ্ঞাপন দেখে, ইমেইল পড়ার মাধ্যমে এবং অন্যান্য সহজ কাজ করে নগদ অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।
Paid To Click সাইটঃ এ ধরনের সাইটে আপনি বিজ্ঞাপন দেখে সরাসরি টাকা ইনকাম করতে পারেন।  যেমনঃ

  • NeoBux: এটি একটি জনপ্রিয় Paid To Click সাইট যেখানে বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম করা যায়। এটি রেফারাল সিস্টেমের মাধ্যমে বেশি আয়ের সুযোগও দেয়। 
  • ClixSense: এই সাইটে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার পাশাপাশি বিজ্ঞাপন দেখেও আয় করা যায়।

মোবাইল অ্যাপসঃ কিছু মোবাইল অ্যাপ রয়েছে যেখানে বিজ্ঞাপন দেখে পয়েন্ট বা টাকা ইনকাম করা যায় যেমনঃ
  • AppNana
  • CashPirate
সতর্কতাঃ 
  • অনেক সাইট অর্থ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও প্রকৃতপক্ষে পেমেন্ট করে না। তাই বিশ্বাসযোগ্য সাইট বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
  • কিছু সাইটে কাজ করার আগে শর্তাবলী ভালোভাবে পড়ে নেওয়া উচিত, যেন আপনি কোন প্রতারণার শিকার না হন।                                                                                                                     

শেষ কথা - অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট -২০২৪

অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করলাম। অনলাইন ইনকাম এবং বিকাশ পেমেন্ট এর সুবিধা নিয়ে আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারি বর্তমান প্রযুক্তির যুগে ঘরে বসে অনলাইন ইনকামের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়েছে। বিকাশের মতো মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এ প্রক্রিয়াকে আরো সহজ ও দ্রুত করেছে।

বিকাশের মাধ্যমে যে কোন স্থান থেকে পেমেন্ট গ্রহণের সুবিধা ছোট বড় উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা আরও উন্নত করেছে। আপনি বিকাশের মাধ্যমে যেকোন স্থান থেকে পেমেন্ট গ্রহণের সুবিধা পাবেন। তাই আপনি সঠিক পরিকল্পনা, সতর্কতা এবং নির্ভরযোগ্য মাধ্যম বেছে নিলে অনলাইন ইনকাম হতে পারে আপনার জন্য আর্থিক স্বাধীনতা অর্জনের একটি চমৎকার উপায়।







এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাওদাকেয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url