বাংলাদেশে কোটিপতি হওয়ার উপায়

 বাংলাদেশে নিজেকে কোটিপতি বানানোর অনেক সুযোগ রয়েছে । ধনী হওয়ার জন্য কিছু কায়দা কানুন জানা প্রয়োজন , কিছু কৌশল অবলম্বন করা প্রয়োজন। কোটিপতি হওয়ার জন্য আপনার প্রচুর টাকা থাকা দরকার নেই । আপনার কোটিপতি হওয়ার একটা মাইন্ডসেট থাকা দরকার। 

কোটিপতি হতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে লক্ষ্য স্থির করতে হবে এবং ধীরে ধীরে আপনাকে সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে । বাংলাদেশে কোটিপতি হওয়ার বেশ কিছু উপায় রয়েছে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

পোষ্ট সূচিপত্র 

প্রথমেই আপনাকে জ্ঞান অর্জন করতে হবে

 নিজের উন্নতির জন্য , নিজেকে কোটিপতি বানানোর জন্য প্রচুর পরিমাণে পড়াশোনা করতে হবে। বর্তমান সময়ে পড়াশোনা ছাড়া নিজের উন্নতি সম্ভব নয় । আপনি যে বিষয়ের উপর কাজ করবেন সে বিষয় সম্পর্কে আপনার অবশ্যই ধারণা থাকতে হবে । সে বিষয়ে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হবে।

আপনি কি করতে চাচ্ছেন , আপনার আইডিয়াকে আপনি বাস্তবে কিভাবে রুপ দিবেন , আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীরা এই বিষয় নিয়ে কি করছে ইত্যাদি বিষয় গুলো জানার জন্য আপনাকে অবশ্যই পড়াশোনা করতে হবে। পড়াশোনা আপনাকে নতুন নতুন ধারণা ও তথ্য যোগাবে। 

আপনি কি করতে চাচ্ছেন সে বিষয়ের উপরে কোন ট্রেনিং সেন্টার থেকে আপনাকে ট্রেনিং নিতে হবে। কোন কর্মশালায় অংশ নিয়ে কিংবা কোন কোর্সে ভর্তি হয়ে অবশ্যই আপনাকে ওই বিষয়ের উপর দক্ষ হয়ে উঠতে হবে । তবেই আপনি পারবেন সামনের দিকে এগিয়ে যেতে।

অল্প বয়সে বিনিয়োগী হওয়া

কোটিপতি হওয়ার জন্য বড় একটি উপায় হচ্ছে বিনিয়োগী হওয়া । বড়লোক হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন বয়স নেই। যে কোন বয়সের যেকোনো মানুষ নিজেকে কোটিপতি করে তুলতে পারে। তবে কোটিপতি হওয়ার জন্য যত দ্রুত সম্ভব নিজেকে বিনিয়োগকারী হিসেবে প্রস্তুত করে তুলতে হবে। 

ব্যবসা করার জন্য নির্দিষ্ট একটা বয়সের অপেক্ষা করা যাবে না। অল্প বয়স থেকে প্রয়োজনে ছোট করে কম পরিসরে ব্যবসা শুরু করতে হবে। ধীরে ধীরে সে ব্যবসাকে বড় করে তুলতে হবে । এতে করে আপনি যখন ৩০ কিংবা ৩২ বছরে যাবেন তখন দেখবেন আপনি একটা বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়ে গেছেন।                                                                                                                                      

 সুতরাং অল্প বয়স থেকে কম বিনিয়োগ হলেও নিজেকে একটি পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবসা শুরু করে দেন। কম বয়সে ব্যাবসা শুরু করে দিলে দেখবেন একতা নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছার আগে আপনি অনেক টাকার মালিক হয়ে গেছেন।

জীবন যাপনের খরচে রাখুন নিয়ন্ত্রণ

কোটিপতি হওয়ার জন্য জীবন যাপনের খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যাপারে সাবধানী হওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি কঠিন পরিশ্রম করে নিজের ইনকাম দিন দিন বাড়িয়ে তোলেন , সেখানে আপনি যদি জীবন যাপনের খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারেন তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার ইনকাম বাড়লেও সঞ্চয় সে হারে বাড়বে না।

এক্ষেত্রে সঠিক সমাধান হলো জীবন যাপনে নিয়ন্ত্রণ এনে খরচ কমিয়ে ফেলতে হবে। আয় বাড়লেও যাতে জীবন যাপনের খরচ না বাড়ে সেদিকে আপনার খেয়াল রাখতে হবে। তবেই আপনি দিন দিন সঞ্চয় বাড়িয়ে কোটিপতি হতে পারবেন। 

বাড়িয়ে ফেলুন ইনকামের একাধিক উৎস

বাংলাদেশে কোটিপতি হওয়ার আরেকটি অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ইনকামের একাধিক উৎস। শুধু একটি ইনকাম বা চাকরি নিয়ে পড়ে থাকলে হবে না। ইনকাম করার একাধিক উৎস তৈরি করতে হবে। বেশিরভাগ ধনীদের কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় ধরনের ইনকামের উৎস থাকে। 

কোটিপতি হওয়ার জন্য আয়ের উৎসে বৈচিত্র্যতা আনা খুব গুরুত্বপূর্ণ। চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করতে হবে , জমি কিংবা বাড়ি বানিয়ে ভাড়া দিতে হবে , আপনি অনলাইনে ব্যবসা করতে পারেন , মাছ চাষ করতে পারেন। আশেপাশের অন্য কোন সুযোগ কাজে লাগিয়ে আপনাকে আয় করতে হবে। 

আপনি যদি ইনকামের একাধিক উৎস তৈরি করতে পারেন অটোমেটিক্যালি আপনার ইনকাম বেড়ে যাবে। যার ফলে আপনি দ্রুত কোটিপতি হতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে কোটিপতি হতে পারবেন

অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে ফ্রিল্যান্সিং করে কি সত্যি কোটিপতি হওয়া যায় ? হ্যাঁ ফ্রিল্যান্সিং করেও কোটিপতি হওয়া যায়। আপনি ফ্রিল্যান্সিংকে বিজনেসে কনভার্ট করুন। দেখবেন আপনি কয়েক বছরের মধ্যে কোটিপতি হয়ে গেছেন। প্রয়োজন শুধু ধৈর্যের এবং পরিশ্রমের। 

আজকে আমি আপনাদের সামনে কিছু মার্কেট প্লেসের চাহিদা সম্পূর্ণ ফ্রিল্যান্সিং কাজের রিসার্চ নিয়ে হাজির হয়েছি যেগুলো আপনাদের অনেক টাকা ইনকাম করতে সাহায্য করবে। যেমন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট , রাইটিং , গ্রাফিক্স ডিজাইন , ডিজিটাল মার্কেটিং , সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার , 



ব্লগিং করে কোটিপতি হন

কোটিপতি হওয়ার জন্য আরো একটি উত্তম মাধ্যম হচ্ছে ব্লগিং। ব্লগিং থেকে অর্থ উপার্জনের কোন সীমা নেই। এডসেন্স , এফিলিয়েন্ট মার্কেটিং বা অন্য কিছু একসাথে ব্যবহার করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা যায়। বেশিরভাগ বাংলা ব্লগে মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম হয়ে থাকে।


  তবে অনেকে মাসের লাখ টাকারও বেশি ইনকাম করে থাকেন। আপনিও যদি চেষ্টা করেন আপনিও পারবেন মাসে লাখ টাকার ও বেশি ইনকাম করতে। চিন্তা করেন একটু ধৈর্য নিয়ে পরিশ্রম করে আপনি যদি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করেন তাহলে কোটিপতি হতে আপনার কতটা সময় লাগবে। ব্লগিং করার মাধ্যমে খুব দ্রুত আপনি ও কোটিপতি হয়ে যাবেন। 

বাংলাদেশে দ্রুত কোটিপতি হওয়ার পাঁচটি ব্যবসা 

বাংলাদেশে কোটিপতি হওয়ার জন্য অনেক উপায় রয়েছএ। তবে আমাদের অবশ্যই হালাল পথে ইনকাম করে কোটিপতি হতে হবে। এমন কিছু ব্যবসা আছে যা অনুসরণ করলে ,বাস্তবায়ন করতে পারলে সহজেই কোটিপতি হওয়া যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক সে পাঁচটি উপায়। 

হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট ব্যবসাঃ আপনি কোটিপতি হওয়ার জন্য হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট ব্যবসা বাড়াতে পারেন। একাধিক জায়গায় একই নামে একাধিক হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট খুলতে পারেন। হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের ব্যবসা বর্তমানে খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা। আপনি যদি এই ব্যবসাটি সফলভাবে করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই কোটিপতি হতে পারবেন।

এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যবসাঃ বাংলাদেশে কোটিপতি হওয়ার জন্য এক্সপোর্ট ইমপোর্ট এর ব্যবসা করতে পারেন। আপনি বাইরে থেকে বিভিন্ন কোয়ালিটির প্রোডাক্ট এনে আমাদের দেশের বিভিন্ন কলকারখানা , গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি এবং বিভিন্ন ডাইং গুলোতে সাপ্লাই দিতে পারেন। আপনি যদি এই ব্যবসাটি সফলভাবে করতে পারেন তাহলে এই ব্যবসা থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করা সম্ভব। যার ফলে আপনি কিছুদিনের মধ্যেই কোটিপতি হতে পারবেন। 

ট্যুর এন্ড ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা: বাঙালি ভ্রমণ পিপাসু জাতি হিসেবে পরিচিত। এছাড়া দেশের এবং দেশের বাইরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিবছর অনেক পর্যটক আসেন আমাদের দেশে। তাদের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করে দেওয়ার মাধ্যমে শুরু করা যেতে পারে এই ব্যবসা। খুব অল্প পুঁজি দিয়ে এ ব্যবসা শুরু করা সম্ভব।
ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসাতে নিজেরাই ট্রাভেল প্যাকেজ তৈরি করে পর্যটকদের কাছে বিক্রি করতে পারেন। বাস ট্রেন ও প্লেনের টিকিটের এজেন্সি নিয়ে সেই টিকিট বিক্রি করতে পারেন। হোটেল বুকিং , খাওয়া-দাওয়া  ,স্থানীয় যাতায়াত সহ সবকিছুর ব্যবস্থা করে দিবেন। গ্রাহক পুরো প্যাকেজের জন্য আপনাকে মূল্য দেবেন। এতে আপনার লাভের পরিমাণ বেশি থাকবে আপনি কম সময়ে দ্রুত কোটিপতি হয়ে যাবেন। 

স্টক ব্যবসাঃ বাংলাদেশে কোটিপতি হওয়ার কারো একটি জনপ্রিয় ব্যবসা হচ্ছে স্টক ব্যবসা। আপনি বিভিন্ন ধরনের সিজন্যাল প্রোডাক্ট স্টোর করে আন-সিজিনাল সময়ে বিক্রি করতে পারেন। এতে করে আপনি যে টাকা দিয়ে প্রোডাক্ট ক্রয় করবেন তার চেয়ে অধিক দামে বিক্রি করতে পারবেন। ফলে আপনার লাভের পরিমাণ বেশি হবে আর আপনি খুব দ্রুত কোটিপতি হয়ে যাবেন। 

রড সিমেন্টের ব্যবসাঃ বর্তমানে রড সিমেন্টের ব্যবসার প্রসার খুব বেশি। কারণ আমাদের দেশের ম্যাক্সিমাম মানুষ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে দালানকোঠা নির্মাণ করছেন। যাতে প্রয়োজন হচ্ছে অনেক রড সিমেন্টের। এই পরিপ্রেক্ষিতে আপনি রড সিমেন্টের ব্যবসা করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

শেষ কথা

মনে রাখবেন রাতারাতি কেউ কোটিপতি হতে পারে না ।কোটিপতি হওয়া একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। সঠিক পরিকল্পনা এবং সঠিক কাজের পদক্ষেপের মাধ্যমে তা বাস্তবায়িত হতে পারে।

কথায় আছে পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি। তবে হ্যাঁ পরিশ্রমে বৈচিত্র্যতা নিয়ে আসতে হবে। রাখতে হবে ধৈর্য। ধৈর্য আর বৈচিত্রময় পরিশ্রম আপনাকে এনে দিবে সাফল্য। আপনি হয়ে যাবেন কোটিপতি। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাওদাকেয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url