প্রিয় অতিথিগণ, শিক্ষক ও সহপাঠিরা,
আজ আমি আপনাদের সামনে বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গৌরবময় দিন, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য--২০২৪ সম্পর্কে কিছু কথা বলব।
১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১। এই দিনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পরিসমাপ্তি ঘটেছিল এই দিনটিতে। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা পেয়েছিলাম স্বাধীনতা। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলার জনগণের অদম্য সাহস ও সংগ্রামের ফলেই সম্ভব হয়েছিল এই বিজয়।
এই সংগ্রামের পেছনে ছিল অসংখ্য বীর শহীদ, যারা তাদের জীবন দিয়েছেন দেশের জন্য। ২৫ মার্চ রাতের নৃশংস অভিযানে শুরু হয়েছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। তারপর থেকেই শুরু হয়েছিল গণসংগ্রাম। লাখো মানুষ গিয়েছিল নির্যাতনের শিকার, তারা নিজেদের জীবনের চেয়েও প্রিয় বলেছিল মাতৃভূমিকে। তাদের রক্তে রাঙানো এই মাটি আজ আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ।
বিজয় দিবস শুধু একটি তারিখ নয়, এটি আমাদের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই দিনটিতে আমরা স্মরণ করি সেইসব মা-বোনদের যাদের সম্মানের জন্য লড়াই হয়েছে, যাদের স্বপ্নগুলো পুড়েছে। বিজয় দিবস আমাদের দেয় এক নতুন আশা, নতুন আত্মবিশ্বাস। এই দিনে আমরা শপথ গ্রহণ করি, এই দেশকে গড়ে তোলার জন্য আমাদের সকল প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।
১৬ ডিসেম্বর আমাদের জন্য আনন্দের দিন। প্রতিটি ঘরে বাজে উল্লাসের সুর। শহর থেকে গ্রামে, চারদিকে দেখা যায় বিজয়ের পতাকা। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, বিজয় শুধুমাত্র একটি দিনের জন্য নয়, এটি আমাদের প্রতিদিনের জীবনে প্রতিফলিত হওয়া উচিত। একটি নতুন দেশের স্বপ্ন দেখতে, আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে আমাদের দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে হবে।
এই দিনটিতে আমরা স্মরণ করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে এবং দেশের মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আমরা আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। তাঁর অবদান এবং অনুপ্রেরণাকে মনে রেখে আমাদের কাজ করতে হবে যেন তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়িত হয়।
এছাড়াও, বিজয় দিবস আমাদের শেখায় যে সংগ্রাম কখনো বৃথা যায় না। ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করতে হয়, যাতে আমরা স্বাধীনতার মূল্য বোঝাতে পারি এবং আমাদের জাতীয়তাবোধকে জাগ্রত রাখতে পারি।
এখন সময় এসেছে আমাদের আরও এগিয়ে যাওয়ার। আসুন, আমরা একসাথে কাজ করি একটি উন্নত, শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য। বিজয় দিবসের এই মহৎ উপলক্ষে আমরা সবাই শপথ গ্রহণ করি, দেশের জন্য আমাদের দায়িত্ব পালন করবো এবং জাতির প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করবো।
সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা! আমাদের দেশের মাটি, আমাদের স্বাধীনতা এবং আমাদের মহানায়কদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি এই বক্তৃতা সমাপ্ত করছি। ধন্যবাদ।
বক্তব্য নম্বরঃ(২)
প্রিয় দেশবাসী,
আজ ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য--২০২৪, এই দিনে আমরা সবাই গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করি আমাদের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বুদ্ধিজীবীদের। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ।বিজয় দিবসের এই দিনে আমরা আবারও স্মরণ করি মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস।
আমরা জানি, এই বিজয় আসেনি সহজে। পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা এ বিজয় অর্জন করি।এই বিজয়ের পিছনে রয়েছে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসামান্য আত্মত্যাগ ও বীরত্ব। তারা দেশমাতৃকার জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন। তাদের এই আত্মত্যাগ আমাদের চিরকালের অনুপ্রেরণা।
বাংলাদেশের দামাল ছেলেরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে লিপ্ত হয়। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ চলতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত বিজয় ছিনিয়ে আনে সাহসী সৈনিকরা। বাংলাদেশের এই যুদ্ধ ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের জন্য যুদ্ধ। পরাধীনতার বিরুদ্ধে স্বাধীনতার যুদ্ধ, মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের জন্য যুদ্ধ।
নিজের মাতৃভূমির কপালে বিজয় লাল টিপ পড়াতে লাখো শহীদ তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে। বাঙালি মা-বোনরা হারিয়েছে তাদের সম্মান, হয়েছেন নির্যাতনের শিকার। আমরা সেই লাখ লাখ বীর শহীদের স্মরণ করি এবং তাদের বুকের তাজা রক্তগুলোকে সম্মান করে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
আজ আমরা স্বাধীন দেশে বসবাস করছি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন আজও পুরোপুরি পূরণ হয়নি। আমাদের দেশে এখনও গণতন্ত্রের চর্চা নেই, আইনের শাসন নেই, দুর্নীতি ও অনিয়ম বিরাজমান।তাই আমাদের সকলের উচিত এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য একসাথে কাজ করা। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে দেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আসুন আমরা সকলে মিলে দেশকে একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলি।
জয় বাংলা!
শেষ কথা -১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য--২০২৪
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য--২০২৪ বাংলাদেশের প্রতি প্রান্তরে উদযাপিত হবে। এই দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জনের এই দিনটি, জাতির আত্মমর্যাদা ও সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত।
এই দিনটি শুধু বিজয়ের সূচনা নয়, বরং দেশের মানুষের মাঝে স্বাধীনতার মূল্যবোধ জাগরণের উপলক্ষও বটে। প্রতি বছর এই দিনে আমরা শহীদদের স্মরণ করে আমাদের জাতিগত পরিচয় ও ঐতিহ্যকে গভীরভাবে তুলে ধরি।
সাওদাকেয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url