চিয়া সিডস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- চিয়া সিডস খাওয়ার উপকারিতা অনেক। আমরা সবাই জানি চিয়া সিডকে সুপারফুড বলে। মূলত প্রাচীনকাল থেকেই এই চিয়া সিডস খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। কেননা এতে বেশি পরিমাণে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। যেহেতু বর্তমানে অনেকের মধ্যে স্বাস্থ্য নিয়ে কয়েকগুণ স্বাস্থ্য সচেতনতা বেড়েছে।
তেমনি প্রতিদিনের খাবার ও এর পুষ্টিগুণ নিয়ে ও মানুষের সচেতনতা বাড়ছে।
অনেকেই এই চিয়া সিডকে আদর্শ খাবার হিসেবে ধরে থাকেন। চিয়া সিডস এ প্রচুর
পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই নিয়মিত চিয়া সিডস খেলে আপনি অনেক ধরনের উপকারিতা
পাবেন। চলুন উপকারিতা গুলো জেনে নিই।
পোষ্ট সুচিপত্র
- শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চিয়া সিডের ভূমিকা
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চিয়া সিডস এর কার্যকারিতা
- হাড় মজবুত রাখতে চিয়া সিডের অবদান
- ওজন কমাতে চিয়া সিডের অবদান
- গর্ভাবস্থায় চিয়া সিডস খাওয়ার উপকারিতা
- বাচ্চাদের জন্য চিয়া সিডস খাওয়ার উপকারিতা
- চিয়া সিডস দিয়ে ত্বকের যত্ন
- চুলের যত্নে চিয়া সিডস এর ব্যবহার
- চিয়া সিডস খাওয়ার অপকারিতা
- চিয়া সিডস খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- শেষ কথা--চিয়া সিডস খাওয়ার উপকারিতা
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চিয়া সিডের ভূমিকা
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চিয়া সিডের ভূমিকা অনেক। চিয়া সিডে প্রচুর
পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান দেহের বিভিন্ন
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এতে থাকা ক্লোরোজেনিক
অ্যাসিড শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
কেয়ার সেটিন নামক উপাদান হৃদরোগ ও প্রদাহ দূর করে, অষ্টিও পোরোসিসের বিশেষ
ঝুঁকি কমায়। ক্যাম্পো ফেরোল উপাদান ক্যান্সার সহ অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী রোগের
ঝুঁকি কমায়। এই চিয়া সিডে থাকা মাইরিসেটি এলার্জি সমস্যার বিরুদ্ধেও বেশ
কার্যকরী।মানব শরীরে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে বেশি বাজে প্রভাব
ফেলে এল ডি এল কোলেস্টেরলের কারণে।
যখন রক্তে এই বাজে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায় তখন বিভিন্ন ধরনের রোগের
সমস্যা ও ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নিয়মিত চিয়া সিডস খেলে এতে থাকা
ওমেগা থ্রি উপাদান রক্তে থাকা বাজে কোলেস্টেরল তুলনামূলক কমিয়ে নানা ধরনের
উপকারী উপাদানের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয় এবং রক্তে কার্যকরী প্রতিরোধী পুষ্টির
ভারসাম্য রক্ষা করে।
ফলে শরীরের অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে
যায়। এজন্য পুষ্টিবিদ ও ডাক্তারেরা হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের নিয়মিত চিয়া
সিডস খাওয়ার পরামর্শ দেন। চিয়া সিডস এর বিভিন্ন কার্যকরী উপাদান দেহের
কোষগুলোকে জীবিত রাখে এবং হৃদপিণ্ড সচল রাখে।
চিয়া সিড নিয়মিত সকালে বা রাতে ঘুমানোর আগে খেলে শরীরে থাকা অতিরিক্ত শরকারার
পরিমাণ কমে যায়। এছাড়াও এই চিয়া সিড শরীরের গ্লুকোজ নিঃসরণ কমিয়ে
রক্তে ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চিয়া সিডস এর কার্যকারিতা
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চিয়া সিড খুব ভালো কাজ করে। চিয়া সিডস নিয়ম মেনে
খেলে দেহের তাপমাত্রা ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কাজ স্বাভাবিক রাখে। এতে করে
আপনার উদ্বিগ্নতা, দুশ্চিন্তা, রক্তচাপের ঝুঁকি ইত্যাদি বেশ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
চিয়া সিডস মানুষের মানসিক শান্তি প্রদানে অনেক সহায়তা করে।
শরীরে ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেলে তা দেহের কার্যকারিতা নষ্ট করতে পারে। ফলে
ব্লাড প্রেসার হঠাৎ বেড়ে গেলে শরীর কাজ করা বন্ধ করে দেই বা ঠিকমতো কাজ করে
না। বিশেষ করে এই ক্ষেত্রে চিয়া সিডস রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ
করতে সাহায্য করে এবং অন্যান্য ক্ষতিকর সম্ভাবনা থেকে দূরে রাখে।
হাড় মজবুত রাখতে চিয়া সিডের অবদান
হাড় মজবুত রাখতে চিয়া সিডের অবদান অপরিসীম। বোন মিনারেল ডেনসিটি মানব শরীরে
হাড়ের স্বাস্থ্যের রক্ষার জন্য খুবই উপকারী। চিয়া সিডে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণে
পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম দেহের বোন মিনারেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এতে
করে আমাদের হাড় বেশ মজবুত ও বেশ শক্তিশালী হয়।
বাজারে পাওয়া কৃত্রিম ক্যালসিয়ামের থেকে এই চিয়া সিড প্রতিদিন সঠিকভাবে ও
সঠিক নিয়মে ভালো মত খেলে কোনরকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া হাড়ের গঠন মজবুত
হতে সাহায্য করে। এছাড়া হাড় সহ অস্থিমজ্জার জ্বালাপোড়া এবং হাড় ক্ষয় হওয়া
থেকে রক্ষা করে। চিয়া সিড নিয়ম করে খেলে দেহের ইমিউনিটি ক্ষমতা বেড়ে যায়।
কারণ এই চিয়া সিডে শরীরের জন্য উপকারী অনেক ধরনের পুষ্টিকারী উপাদান
থাকে। নিয়মিত হাড়ে চিয়া সিড খেলে হার মজবুত করার পাশাপাশি অনেক দুর্বলতা
থাকলেও তা দূর করে। এতে আপনার হৃদপিণ্ড সচল রাখে যা আপনার পুরো শরীরের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
শরীরের যে টক্সিন পদার্থ রয়েছে তা বিভিন্ন প্রকারের শারীরিক সমস্যা ও অসুবিধা
তৈরি করে। এই চিয়া সিডে থাকা ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, মিনারেল ও নানা উপকারী এসিড
আমাদের শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতে বেশ সাহায্য করে থাকে। ফলে নিয়মিত চিয়া
সিডস খাওয়ার ফলে শরীর সবল ও সুস্থ থাকে।
ওজন কমাতে চিয়া সিডের অবদান
চিয়া সিডস খাওয়ার উপকারিতা এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ওজন কমাতে চিয়া সিডের
অবদান অনেক। এই চিয়া সিডস শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। এতে অনেক বেশি পরিমাণে
খাদ্য আঁশ থাকে যা আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে ধীরগতি করে। এর ফলে বেশি বেশি
ক্ষুধা লাগে না বা অতিরিক্ত খাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এছাড়াও উচ্চমাত্রায় ফাইবার ও প্রোটিন থাকার কারণে ওজন খুব দ্রুত কমে যায়,
সাথে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতেও খুব ভালো ভূমিকা রাখে। নিয়ম করে খাওয়ার ফলে সুষম
খাদ্য খাবার অভ্যাস নিশ্চিত হওয়ার সাথে অপ্রয়োজনীয় মোটা হওয়ার আশঙ্কা থেকে
মুক্তি পাওয়া যায়।
গর্ভাবস্থায় চিয়া সিডস খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় চিয়া সিডস খাওয়ার উপকারিতা অনেক। একজন গর্ভবতী মাকে অবশ্যই চিয়া
সিডস খাওয়া দরকার। একজন গর্ভবতী মহিলার সুস্থ থাকতে দিনে প্রায় ৬৫৯ মিলিগ্রাম
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড দরকার। যদিও মাছ, আখরোট, এভোকাডো খেলে ঘাটতি পূরণ
হয়, কিন্তু চিয়া সিড খেলে অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের পাশাপাশি ফলিক এসিড ও
পাবেন যা খুবই উপকারী।
কেননা এই ফলিক অ্যাসিড সময়ের আগে শিশু জন্মানোর আশঙ্কা দূর করে। জন্মগত ত্রুটি
রোধ করে এবং শিশুর ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। আপনি এক থেকে দুই চা চামচ চিয়া
সীডস ভিজিয়ে রেখে পানিসহ খেলে উপকার পাবেন। তাছাড়া ভেজানো চিয়া সিডস এক গ্লাস
গরম দুধে মিক্সড করেও খেতে পারেন।
চিয়া সিডস খেলে মায়ের বুকের দুধে ডি এইচ এ কন্টেন্ট বাড়াতে সাহায্য করে
যা শিশুর মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। চিয়া সিডস এর সাথে
বিভিন্ন ফল টুকরো করে কেটে ভাল ভাবে মিশিয়ে খেতে পারেন। যা গর্ভের
সন্তানের জন্য বেশ উপকারী।
বাচ্চাদের জন্য চিয়া সিডস খাওয়ার উপকারিতা
বাচ্চাদের জন্য চিয়া সিডস খাওয়ার উপকারিতা অনেক। চিয়া সিডে ওমেগা থ্রি
ফ্যাটি অ্যাসিড বাচ্চাদের ব্রেনের বিকাশে এবং বৃদ্ধিতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা
পালন করে। এতে বিদ্যমান সলিউবল ফাইবার শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর
করতে সাহায্য করে।
দৈনিক চাহিদার প্রায় ৪২ শতাংশ আয়রন এই চিয়া সিডে থাকে। জিংক,
ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় বাচ্চাদের পেশী গঠনে সাহায্য
করে এবং সুগার ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
চিয়া সিডস দিয়ে ত্বকের যত্ন
চিয়া সিডস খাওয়ার উপকারিতা অনেক আমরা সকলেই জানি। তবে ত্বকের যত্নেও চিয়া
সিডের অবদান কম নয়। চিয়া সিডে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা ত্বককে
উজ্জ্বল করতে খুবই প্রয়োজন। চিয়া সিডে ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান
রয়েছে। যা ত্বককে নানা দূষিত পদার্থ ও কোষের ফ্রী রেডিক্যাল থেকে রক্ষা
করে।
এছাড়াও চিয়া সিডে এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। যা ত্বকের প্রদাহ জনিত
সমস্যা দূর করতে বিশেষ সাহায্য করে থাকে। যাদের মুখে ব্রনের সমস্যা রয়েছে তারা
ভেজানো চিয়া সিডস মুখে মাখলে বা নিয়মিত খেলে ভালো উপকার পাবেন। সারারাত চিয়া
সিডস ভিজিয়ে রেখে তাতে এক চামুচ ইউসুফ গুলের ভুসি মিসিয়ে ভাল ভাবে নেড়ে
প্রতিদিন সকালে খেতে পারেন। এতে বেশ উপকার মিলবে।
এক কাপ পানিতে এক চামচ চিয়া সিডস রাত্রে ভিজিয়ে রেখে পরদিন ওই পানি মুখে
লাগিয়ে রাখতে পারেন। বিশ মিনিট রেখে হালকা মেসেজ করে ধুয়ে ফেলবেন। এতে করে
ত্বক হবে নরম ও মসৃণ। ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখার সাথে সাথে চিয়া সিড মুখে
বয়সের ছাপ পড়া আটকে দিতে পারে।
চুলের যত্নে চিয়া সিডস এর ব্যবহার
চুলের যত্নে চিয়া সিডের ব্যবহার খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি খুব সহজেই বাড়িতে চিয়া
সিডস দিয়ে হেয়ার মাস্ক বানিয়ে চুলের যত্ন নিতে পারেন। এক গ্লাস পানিতে এক চা
চামচ চিয়া সিডস ভিজিয়ে নিন। ভেজানোর পর তা জেলের আপার ধারণ করলে তাতে ২ চা চামচ
নারিকেল তেল, এক চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি ভালোভাবে
ফুটিয়ে নিতে হবে।
এরপর ফুটানো মিশ্রণটি ঠান্ডা করে চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। আধাঘন্টা রেখে
গোসলের সাথে চুল ধুয়ে ফেলুন। আপনি চাইলে শ্যাম্পু করে নিতে পারেন। এভাবে
সপ্তাহে একদিন চিয়া সিডের হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে আপনার চুল
হবে মসৃণ। চিয়া সিডের হেয়ার মাস্ক চুলের কন্ডিশনিং এর কাজ করে।
চিয়া সিডস খাওয়ার অপকারিতা
চিয়া সিডসখাওয়ার উপকারিতা যেমন অনেক তেমনি চিয়া সিডস খাওয়ার কিছু অপকারিতা ও
রয়েছে। গবেষকদের মতে, বেশি পরিমাণে চিয়া সিডস খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা হয়।
চিয়া সিডস বেশি খেলে স্তন ক্যান্সার ও প্রোস্টেট ক্যান্সার বেড়ে যাওয়ার
সম্ভাবনা থাকে। প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকার কারণে পরিমাণ থেকে বেশি চিয়া সিড
খেলে পেটের ব্যথার সমস্যা বেড়ে যায়।
অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া সিড খেলে ওজন অস্বাভাবিকভাবে কমে যেতে পারে, যা
স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। চিয়া সিডস যেহেতু দেহে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে
তেমনি পরিমাণ মতো না খেলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। চিয়া সিডস কিছু
ঔষধের সাথে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। যারা নিয়মিত ওষুধ খান তারা অবশ্যই
ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে পরিমাণ অনুযায়ী খাবেন।
অনেকের এই চিয়া সিডে এলার্জি থাকতে পারে। যদি চিয়া সিডস খাওয়ার পরে ফুসকুড়ি,
চুলকানি ও শ্বাসকষ্ট হয় তাহলে না খাওয়াই ভালো। গর্ভবতী এবং সদ্য মা হওয়া
মহিলারা চিয়া সিডস খেলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
চিয়া সিডস খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
চিয়া সিডস খাওয়ার উপকারিতা বহু গুণ কিন্তু এটি খাওয়ায় কিছু পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া রয়েছে। চিয়া সিডস বেশি খেলে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। এই সিডস বেশি
খাওয়ার ফলে প্রোস্টেট ক্যান্সার ও অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে
দেয়। চিয়া সিডস বেশি খাওয়ার কারণে ওজন অতিরিক্ত মাত্রায় কমে যায়, যার ফলে
শরীর দুর্বল হয় ও শরীর কর্ম ক্ষমতা হারায় ।
চিয়া সিড যেমন দেহের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, তেমনি অতিরিক্ত খেলে উচ্চ
রক্তচাপের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো ও সতেজ রাখতে
চিকিৎসকেরা বিশেষ করে ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ।কিন্তু
অতিরিক্ত ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে পেটব্যথা, গ্যাস, বদহজম ও ডায়রিয়ার
সমস্যা দেখা দিতে পারে।
চিয়া সিডস বেশি খেলে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিতে পারে। যার কারনে ডাক্তারেরা
সবসময় চিয়া সিডস খাওয়ার সাথে বেশি করে পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে
থাকেন। আপনি এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ চিয়া সিডস ভিজিয়ে রেখে পুরো পানি
সহ খেয়ে নিতে পারেন।
শেষ কথা--চিয়া সিডস খাওয়ার উপকারিতা
চিয়া সিডস খাওয়ার উপকারিতা অনেক। খালি পেটে সকালে ও রাত্রে খাওয়ার পর ঘুমানোর
আগে চিয়া সিডস খাওয়ার উপযুক্ত সময়। সাধারণ তাপমাত্রায় এক গ্লাস পানিতে দুই
চা চামচ চিয়া সিডস ভিজিয়ে রেখে সকালে পানি সহ খেতে পারেন অথবা ভেজানো চিয়া
সিডে এক চামচ ইউসুফগুলের ভুষি মিশিয়ে ভালোভাবে নেড়ে খেতে পারেন।
এতে ভালো ফল পাবেন ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও একটু পানিতে
ভিজিয়ে কিছুক্ষণ রেখে তাতে গরম দুধ মিশিয়ে রাত্রে খাবার পর খেতে পারেন।
যেহেতু চিয়া সিডে নানা ধরনের পুষ্টিগুণ ও অন্যান্য গুণ রয়েছে তাই নিয়ম
অনুসারে খেলে অবশ্যই অভাবনীয় উপকার পাবেন। তাছাড়া বিভিন্ন ফল মিশিয়ে খেতে
পারেন। এতে পুষ্টিগুণ আরো বেড়ে যাবে।
সাওদাকেয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url